গুরুংয়ের অনশন মঞ্চে বিজেপি সাংসদ, ২০২৪-এর আগে কি তৈরি হবে নয়া সমীকরণ
গুরুংয়ের অনশন মঞ্চে বিজেপি সাংসদ, ২০২৪-এর আগে কি তৈরি হবে নয়া সমীকরণ
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের আমরণ অনশন মঞ্চে হাজির হলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত। বিমল গুরুংপন্থী মোর্চার প্রচ্ছন্ন সমর্থনে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন রাজু বিস্ত। ২০১৯-এও বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন বিমল গুরুং। ২০২১-এ সেই জোট ভেঙে যায়। ফরে কি পাহাড়ে মোর্চার হাত ধরবে বিজেপি। বিমল গুরুংয়ের মঞ্চে রাজু বিস্তের উপস্থিতির পর জল্পনা তৈরি হয়েছে ফের।
বিমল গুরুংয়ের পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে বর্তমানে। ২০২১-এর পর তিনি প্রান্তিক শক্তিপে পরিণত হয়েছেন। এই অবস্থায় জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করে তিনি ঘুরে দাঁড়ানোর রাস্তা তৈরি করতে চাইছেন। পাহাড়ে প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে তিনি আমরণ অনশনে বসেছেন। সেই মঞ্চেই এবার হাজির হলেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত।
বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত এদিন বিমল গুরুংকে অনুরোধ করেন অনশন তুলে নিতে। তিনি তৃণমূলের সমলাোচনাও করেন বিমল গুরুংয়ের মঞ্চ থেকে। তাঁর কথায়, গোর্খাদের জন্য কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। মমতা বন্যোুরপাধ্যায় ও তাঁর সরকার বা দল কখনই গোর্খাদের জন্য কাজ করবে না। গোর্খাদের যদি কেউ ন্যায় দিতে পারে, তা হল বিজেপি।
শুধু দার্জিলিংয়ের সংসদ হিসেবে রাজু বিস্ত নয়, আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লাও এদিন দেখা করেন বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে। ফলে বিজেপির সঙ্গে পুরনো দোস্তি ফের জোড়া লাগতে পারে বলে একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তা নিযে চলছে বিস্তর জল্পনাও। বিমল গুরুংয়ের পাশাপাশি বিজেপিও জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করছে বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে জিটিএ নির্বাচন স্থগিত রেখে আগে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমস্যার সমাদানের আর্জি জানান। তারপরে তিনি নির্বাচন চান। কিন্তু পাহাড়ে সমস্যার সমাধান না করেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করায় তিনি রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তবে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেন।
বিজেপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৌমিত্রর গড়ে, ভাঙন জল্পনার মাঝেই পোস্টার জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে
এখন দেখার বিজেপি সাংসদ ও মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বিমল গুরুংয়ের ফের মনবদল হয় কি না। তিনি আবার বিজেপির হাত ধরেন কি না। বিমল গুরুং এখন চাইছেন যে করে হোক পাহাড়ে গুরুত্ব ফিরে পেতে। কেননা পাহাড়ে মাটি হাতছাড়া হয়েছে গুরুংয়ের পাহাড়ে এখন এসেছে অন্যমুখ। তাঁর এই লড়াই তো শুধু জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতায় থেমে নেই। তিনি চাইছেন পাহাড়ে পুরনো গুরুত্ব ফিরে পেতে। পাহাড়ে এখন অজয় এডওয়ার্ড হামরো পার্টি ও গুরুংয়ের পুরনো সঙ্গী অনীত থাপার গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার বাড়বাড়ন্ত। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং চলে গিয়েছেন পিছনের সারিতে। সম্প্রতি রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী বুলুচিক বরাইক তাঁর সঙ্গে দেখা করে যান গুরুংয়ের সঙ্গে। তাঁর অনুরোধে বরফ গলেনি। এখন বিজেপির সাংসদ-মন্ত্রীদের তরফে কোনও আশ্বাসে গুরুং সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে কি না সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।