বিজেপিতে সভাপতিকে হটানোর ডাক, পঞ্চায়েত ভোটে ‘অশনি সংকেত’ দিলেন বিদ্রোহীরা
বিজেপিতে সভাপতিকে হটানোর ডাক, পঞ্চায়েত ভোটে ‘অশনি সংকেত’ দিলেন বিদ্রোহীরা
বিজেপিতে বিদ্রোহ এবার অন্য রূপ নিল। জলপাইগুড়িতে বিজেপিতে বড় ফাটল ধরিয়ে গণইস্তফা দিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। জেলা সভাপতিকে হটাতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকও করেছিলন বিদ্রোহীরা। এবার ময়দানে নেমে বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে স্লোগান তুললেন তাঁরা। স্লোগান উঠল- 'বাপি হটাও বিজেপি বাঁচাও'। আবার একইসঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি প্রার্থীদের হারানোর আওয়াজও উঠে গেল।
বিজেপিতে ইস্তফার হিড়িক, জলপাইগুড়ি জেলা অগ্রগণ্য
জলপাইগুড়ি জেলায় বিজেপি প্রভূত সাফল্য পেয়েছে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে। এমনকী ২০২১-এর বিধানসভা ভোটেও সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু তারপর থেকেই বিজেপি বইতে শুরু করেছে উল্টো সুরে। দিকে দিকে বিজেপিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইস্তফার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। তার মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলা ছিল অগ্রগণ্য।
বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে স্লোগান
পঞ্চায়েত নির্বাচন যখন ক্রমশ এগিয়ে আসছে, তখন স্লোগান উঠল, বাপি হটাও বিজেপি বাঁচাও। এই বাপি হলেন বাপি গোস্বামী। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি। জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে বিজেপিরএ একাংশ। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেই দল ছেড়েছিলেন ২০ জন নেতা।
জেলায় সমান্তরালভাবে সংগঠন চালানোর হুঁশিয়ারি
বিদ্রোহীরা এদিন শুধু জেলা সভাপতিকে হটাবার ডাক দিয়েই ক্ষান্ত হননি। তাঁরা সরাসারি স্লোগান তুলেছে বিজেপিকে হারানোর। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তাঁরা হারাবেন বিজেপির প্রার্থীদের। তাঁরা যে জেলায় সমান্তরালভাবে সংগঠন চালাবে, তা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির বিক্ষুব্ধরা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপিতে বি্দ্রোহ জারি
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপিতে একের পর এক বিদ্রোহ দানা বাঁধছে। জেলায় বিদ্রোহের আঁচ ক্রমেই তীব্র হচ্ছে জেলায়। খোদ জেলা সভাপতিকে সরানোর দাবি বিজেপির পক্ষে অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠছে বারেবারে। শুধু জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে ২০ জন নেতার দল ছাড়াই নয়, কর্মীদের নিয়ে গোপন বৈঠকও করেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি-সহ একাধিক নেতা। সেখানে জেলা সভাপতিই ছিলেন তাঁদের নিশানায়।
অনতিবিলম্বে ওই সভাপতিকে সরানোর দাবি বিদ্রোহীদের
ওই বৈঠকে জেলা সভাপতিকে অচল পয়সা বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহী নেতারা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে দাবি করেন, জেলা বিজেপির শীর্ষপদ থেকে তাঁকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। বিদ্রোহীদের অভিযোগ, জেলা সভাপতি যেভাবে কাজ করছেন, তাতে জেলা থেকে বিজেপি নির্মূল হয়ে যাবে। তাই অনতিবিলম্বে ওই সভাপতিকে সরানোর দাবি রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব কোনও সাড়া দেয়নি তাদের দাবিতে।
নতুন মণ্ডল কমিটিতে বাদ পড়েন আদিরা, বিদ্রোহ জারি
বিজেপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলায় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি গঠন করা হয়েছিল নতুন মণ্ডল কমিটি। সেখানে বাদ পড়েন আদি বিজেপির বহু নেতা। স্বভাবতই তাঁরা অখুশি হন। এবং তাঁরাই মূলত বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই জেলা নেতৃত্ব নতুন কমিটি তৈরি করেছে।
বিজেপিতে বিদ্রোহ চলছেই, দুধকুমারের বিদ্রোহের পর পদত্যাগ আরও এক 'হেভিওয়েটে’র