বিজেপিতে বিদ্রোহ আরও তীব্র, সভাপতিকে সরানোর দাবিতে এবার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
বিজেপিতে বিদ্রোহ আরও তীব্র, সভাপতিকে সরানোর দাবিতে এবার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
বিজেপিতে ঠেকানোই যাচ্ছে না বিদ্রোহ। এদিনই বীরভূমের বিদ্রোহী নেতাকে শোকজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বিদ্রোহের সুর শোনা গেল উত্তর থেকে। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে বিজেপি বিদ্রোহোর ডাক দিয়েছে। এর ফলে ফের জলপাইগুড়িতে বড় ফাটল তৈরি হয়ে গেল। এর আগে ২০ জন নেতা গণইস্তফা দিয়েছিলেন বিজেপি থেকে।
গণ ইস্তফার পর বিদ্রোহের আঁচ আরও তীব্র হল
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপিতে একের পর এক সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। গণইস্তফার ক্ষত মিটতে না মিটতেই বিদ্রোহের আঁচ তীব্র হল জেলায়। খোদ জেলা সভাপতিকে সরানোর দাবিতে কর্মীদের নিয়ো গোপন বৈঠক করলেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি-সহ একাধিক নেতা। গত মাসে বর্তমান জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেই দল ছেড়েছিলেন ২০ জন নেতা।
জেলা সভাপতিকে অচল পয়সা বলে ব্যাখ্যা
২০ জন নেতার গণইস্তফার পর থেকেই ফুঁসছিল জেলা বিজেপির একাংশ। এবার তারা জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে এক হলেন। রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। বৈঠকে জেলা সভাপতিকে অচল পয়সা বলে ব্যাখ্যা করলেন তাঁরা। তাঁকে শীঘ্রই জেলা বিজেপির শীর্ষপদ থেকে অপসারণের দাবিতে সরব হল নেতৃত্বের একাংশ।
জেলা থেকে বিজেপি নির্মূল হয়ে যাবে!
অভিযোগ, জেলা সভাপতি যেভাবে কাজ করছেন, তাতে জেলা থেকে বিজেপি নির্মূল হয়ে যাবে। তিনি বিজেপিকে শেষ করে ছাড়বেন জেলায়। তাই অনতিবিলম্বে ওই সভাপতিকে সরানোর দরকার। রাজ্য নেতৃত্বের এ ব্যাপারে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই বলেও একাংশ দাবি করেন। এদিন জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত ধূপগুড়ি ব্লকের এক প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন।
খোদ জেলা সভাপতির উপর ক্ষোভ
বিজেপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলায় বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি গঠন করা হয়েছিল নতুন মণ্ডল কমিটি। সেখানে বাদ পড়েন আদি বিজেপি নেতারা। স্বভাবতই তাঁরা অখুশি হন। এবং তাঁরা বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই জেলা নেতৃত্ব নতুন কমিটি তৈরি করেছে। তাঁদের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে খোদ জেলা সভাপতির উপর।
বুমেরাং হতে পারে বিজেপির
বিজেপিতে এই কোন্দলের জেরেই জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগে গণইস্তফার হিড়িক পড়ে যায়। ময়নাগুড়ি বিধানসভার দক্ষিণ মণ্ডলের সম্পাদক জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক, মণ্ডল যুব সভাপতি, মণ্ডল যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক-সহ মোট ২০ জন নেতা মাস খানেক আগে ইস্তফা দেন। তাঁরা দাবি করেন, যেভাবে দল চলছে, তাতে আগামী দিনে বিজেপি বলে কিছু থাকবে না! পঞ্চায়েত ভোটের আগে যেভাবে গোষ্ঠীকোন্দল চরম আকার নিতে শুরু করেছে, তাতে বিজেপির বুমেরাং হতে পারে।
মোদীর উচিৎ আব্বাসকে জিজ্ঞেস করা নূপুর শর্মা-র বক্তব্য আপত্তিকর কিনা, বললেন ওয়েসি