স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবিতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসল জামাই
শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসল জামাই
না সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই, বরং সব অভিযোগ তাঁর শ্বশুর
বাড়ির প্রতি, আর তাই শ্বশুড়বাড়ির বাইরে ধর্নায় বসলেন স্বয়ং জামাই। দাবি হল, তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে তিনি তাঁর বাড়িতে যাবেন। সোমবার এমনই মজাদার ঘটনা ঘটেছে নদীয়া জেলায়। ২৮ বছরের অলোক মল্লিকের সঙ্গে বিয়ে হয় সঙ্গীতা ঘোষের, যিনি সদ্য ১৮ বছরে পা দিয়েছেন।
সঙ্গীতার পরিবার এই সম্পর্কের বিপক্ষে থাকলেও তিনি অলোককে বিয়ে করেন। অলোকের ফটোগ্রাফি স্টুডিও রয়েছে। তাঁদের বিয়ে হিন্দু রীতি মেনে মন্দিরে হয় এবং আইনতভাবেও তাঁরা বিয়ে করেন। অলোক দাবি করেন যে সম্প্রতি সঙ্গীতা তাঁর অভিভাবককে দেখবেন বলে হরিণঘাটা পুলিশ থানার অন্তর্গত সোনাখালি গ্রামে আসেন এবং তাঁর পরিবার তাঁকে স্বামীর ঘরে ফিরতে দিতে বাধা দেয়। সঙ্গীতাকে মারধর করে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অলোক দাবি করেন, সঙ্গীতাকে তাঁর সঙ্গে ছেড়ে দেওয়া হোক।
একহাতে প্ল্যাকার্ড ও অন্যহাতে নিজেদের বিয়ের ছবি ও রেজিস্ট্রারের প্রতিলিপি নিয়ে অলোক তাঁর শ্বশুরবাড়ির বাইরে ধর্নায় বসে যান। তিনি সঙ্গীতাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয়দের সাহায্য চান। অলোক বলেন, 'তাঁরা যেহেতু তাকে অজ্ঞাত স্থানে পাঠিয়ে দিয়েছে, আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত ধর্নায় বসে থাকব এবং যতক্ষণ না আমি এর কোনও সমাধান দেখছি ততক্ষণ আমার ধর্না চলবে।’ পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি সঙ্গীতার পরিবার হরিণঘাটা থানায় অলোকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, কিন্তু তদন্তে কোনও সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। পুলিশ তদন্ত করছে। সোমবার ভোরবেলা থেকে এই নাটকীয় ধর্না শুরু হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।