
ইনসাফ চাই! ডিওয়াইএফআইয়ের এসপি অফিস ঘেরাওকে কেন্দ্র করে বহরমপুরে ধুন্ধুমার
প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থী প্রয়াত আব্দুর রহমানের মৃত্যুতে ইনসাফ চাই। এই দাবিকে সামনে রেখে বহরমপুরে জেলা পুলিশ সুপার অফিস ঘেরাও করেছিল ডিওয়াইএফআই। পুলিশ আন্দোলনকারীদের বাধা দিলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। উভয়ের মধ্যে বচসা বাধে, শুরু হয় ধস্তাধস্তি। তারই জেরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় বহরমপুরে।

লালগোলা থানা অভিযানের পর এসপি অফিস ঘেরাও
সোমবার বহরমপুর টেক্সটাইল মোড় আদতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের। প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থী প্রয়াত আব্দুর রহমানের ইনসাফের দাবিতে গত শনিবার লালগোলা থানা চলো অভিযানের ডাক দেয় ডিওয়াইএফআই ও এসএফআই। সেইদিনই ফের সোমবার জেলা পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়।

পুলিশি বাধায় অবস্থান বিক্ষোভ শুরু বাম ছাত্র-যুবর
সেইমতো বহরমপুর শহরে মিছিল করে বহরমপুর জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের দিকে এগোতে থাকে বামেদের মিছিল। এরপরই এই মিছিল পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা এই অবস্থায় ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে যেতে চাইলে পুলিশি বাধায় তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। অবস্থান বিক্ষোভে বসেই ক্ষান্ত হননি তাঁরা, বাঁশের ব্যারিকেড ভাঙারও চেষ্টা করা হয়।

চাকরিপ্রার্থী আবদুর রহমানের মৃত্যুতে ইনসাফ দাবি
এই ঘটনা ঘিরে বাঁধে ধুন্ধুমার কাণ্ড। এই মিছিলে আবদুর রহমানের বাড়ি সরপাখিয়া থেকেও বহু মানুষ বামেদের অভিযানে অংশ নেন। দাবি ওঠে, চাকরিপ্রার্থী আবদুর রহমানের মৃত্যুর জন্য দায়ী অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। রাজ্যজুড়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির চক্র ভাঙতে হবে। সেইসঙ্গে সুষ্ঠভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের দাবিও তোলা হয় বাম ছাত্র-যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই ও এসএফআইয়ের দিকে।

পুলিশ ও ডিওয়াইএফআই-এর কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা
উল্লেখ্য, চাকরিপ্রার্থী আবদুর রহমানের মৃত্যুর প্ৰতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে গত শনিবার লালগোলা থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে নামে বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। আর সেই কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে লালগোলা। লালগোলার পর এবার বহরমপুর জেলা পুলিশ সুপার অফিস ঘেরাও নিয়েও বচসা বাঁধে পুলিশ ও ডিওয়াইএফআই-এর কর্মীসমর্থকদের মধ্যে।

টাকা চেয়ে হুমকির মুখে পড়তে হয় আব্দুর রহমানকে
আবদুর রহমান নামের লালগোলার সরপাখিয়া যুবক প্রাইমারি চাকরির জন্য প্রায় ৭ সাত লক্ষ টাকা দেন। দিবাকর কোনার নামে এক ব্যক্তি অভিযুক্ত হন। অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরেও আবদুর রহমানের চাকরি না হওয়ায় দিবাকর কোনারের কাছে টাকা ফেরত চাইতে যান তিনি। কিন্তু সেখানে গিয়ে হুমকির মুখে পড়তে হয় আব্দুর রহমানকে।

সুইসাইড নোটে অভিযোগ লিখে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী
প্রতারিত হয়ে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন আবদুর রহমান। গত সেপ্টেম্বর মাসে সুইসাইড নোটে তাঁর অভিযোগ লিখে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন আবদুর। এই ঘটনায় লালগোলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃত চাকরিপ্রার্থীর পরিবার। সেই ঘটনায় গত সোমবার রাতে অভিযুক্ত দিবাকর কোনারকে বীরভূম থেকে গ্রেফতার করে লালগোলা থানার পুলিশ।
টিআরএসের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কের কোনও প্রশ্নই নেই, ভারত জোড়ো যাত্রায় সমালোচনা রাহুল গান্ধীর