নবান্ন অভিযানে তাঁর হাত কামড়াতে পাঠানো ওই পুলিশকর্মীকেই! নন্দীগ্রামে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম আমলে নন্দীগ্রামের চটি পুলিশের কথা বলেন। আর এরা কোন পুলিশ। বুধবার চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালকে সিভিল ড্রেসে থাকা পুলিশকর্মীর কামড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে এই প্রশ্ন করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম আমলে নন্দীগ্রামের চটি পুলিশের কথা বলেন। আর এরা কোন পুলিশ। বুধবার চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালকে সিভিল ড্রেসে থাকা পুলিশকর্মীর কামড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে এই প্রশ্ন করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অভিযোগ করেন, গুণ্ডাদের দিয়ে রাজ্যে গণতান্ত্রিক আন্দোন দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
কান দিয়ে দেখেন
জোঁড়াসাকোয় রবীন্দ্র ভারতীর ক্যাম্পাসে হেরিটেজ আইন ভেঙে ইউনিয়ন রুম করেছে তৃণমূলের কর্মী পরিষদ। সেখানে টানানো হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। এব্যাপারে সরকারকে জানানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সেখানকার উপাচার্য। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বিরোধী দলনেতা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কান দিয়ে দেখেন। আর রবীন্দ্রনাথের ছবি সরিয়ে তাঁর এবং ভাইপোর ছবি বসানো হয়েছে, তাতে তো তিনি (মমতা) খুশি! চলচ্চিত্র উৎসবে উত্তম কুমার কিংবা সত্যজিৎ রায়ের ছবি না থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সেখানে থাকে বলেও মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা।
সরকার চালাতে পারবে না
বিরোধী দলনেতা এদিন ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন সরকার চালাতে পারবেন না। কেননা ভুয়ো নিয়োগ বাতিল হলে লম্বা লাইন হবে। অন্যদিকে আদালত ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরেই সরকার হলফনামা দিয়ে বলছে আর্থিক বিপর্যয় হবে। তারপরেই তিনি বলেন, পার্থ-কেষ্ট-মানিক এরা সবাই চুনো পুটি, সব খেয়েছে হাওয়াই চটি।
তাঁর হাত কামড়াতে পাঠানো হয়েছিল
চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালকে মহিলা পুলিশকর্মীর কামড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলা পুলিশদের নিয়ে বিশেষ বাহিনী তৈরি করেছেন। বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন তিনি ডোন্ট টাচ মাই বডি বলার পরে অনেকে হেসেছিলেন। কিন্তু সেদিনও ওই পুলিশকর্মীকেও তাঁকে কামড়ানোর জন্য এই দেবী তামাংকে পাঠানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, কলেজের গেট থেকে তিনি উঠে এসেছেন, তাই সেদিনকার পরিস্থিতি তিনি আগে থেকেই আঁচ করে নিতে পেরেছিলেন। সেদিনের মতো এদিনও নেতৃত্বে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আকাশ মাঘারিয়া ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা।
তৃণমূলের কর্মসূচিকে কটাক্ষ
তৃণমূল গ্রামে যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে। স্লোগান হল, চলো গ্রামে যাই। তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, এটা হল চলো মাল কামাইয়ের লাইসেন্স। তৃণমূলের এখন মাল কামানোর প্রতিযোগিতা চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁকে গোব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। সেব্যাপারে এদিন তিনি বলেন, এইসব লোকগুলো (শুভেন্দুর চারপাশে থাকা নেতাকর্মীরা) তুলে তাদের পুকুরে ফেলে দিত।
কেরলে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে! ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের পদ থেকে অপসারিত আরিফ খান