ভর্তি নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ অখিল গিরির ছেলের বিরুদ্ধে! মমতা-অভিষেককে 'বিস্ফোরক' চিঠি
অস্বস্তি বাড়ছে গিরি পরিবারের! রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য। আর এই মন্তব্যের জেরে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির বিরুদ্ধে বাংলা জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠছে। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে অখিল গিরির মন্তব্যের বিরুদ্ধে বি
অস্বস্তি বাড়ছে গিরি পরিবারের! রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য। আর এই মন্তব্যের জেরে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির বিরুদ্ধে বাংলা জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠছে। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে অখিল গিরির মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বঙ্গ বিজেপির। আর এই ঘটনা নিয়ে রীতিমত অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল।
যদিও এহেন মন্তব্যের দায় তৃণমূল নেয় না বলে ইতিমধ্যে দায় এড়িয়েছে শাসক। আর এই বিতর্কের মধ্যেই দুর্নীতিতে নাম জড়াল অখিল-পুত্র সুপ্রকাশের। যা নিয়ে নতুন করে অস্বস্তি অখিল গিরি পরিবারে।
কলেজে ভর্তি নিয়ে সুপ্রকাশ গিরির নাম সামনে
জানা যাচ্ছে, কলেজে ভর্তি নিয়ে সুপ্রকাশ গিরির নাম সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, কাঁথি কলেজের মেধা তালিকায় কারচুপির অভিযোগ উঠেছে অখিল পুত্রের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন একাধিক অভিভাবক। শুধু তাই নয়, উচ্চ শিক্ষা দফতরের লিখিত অভিযোগও করেছেন তাঁরা। যদিও এই বিষয়ে কিছুই জানা নেই বলে দাবি তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতির। তবে পুরোটাই খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন তিনি।
চিরকুট দিয়ে একাধিক চাকরি হয়েছে
অভিভাবকদের অভিযোগ, কাঁথি কলেজে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া চললেও তাতে নামমাত্র হয়েছে। সুপ্রকাশ গিরির লেখা চিরকুট দিয়ে একাধিক চাকরি হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, সেখানে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে বলেও অভিযোগ। তবে কলেজে দুর্নীতি হয়েছে মেনে নিয়েছেন সুপ্রকাশ নিজেও। আর তাতে দলের একাংশকে একহাত নিয়েছেন বলে অখিল-পুত্র। এমনকি কলেজের প্রিন্সিপালের নাম জড়িয়ে আছে বলেও দাবি তৃণমূল নেতার। তবে তাঁর নাম জড়ানো নিয়ে সুপ্রকাশের দাবি, পুরো বিষয়টি ভিত্তিহীন। চিরকুটে লিখে ভর্তি হয় না। তদন্ত হোক। তদন্ত হলে সহযোগিতা করব বলে দাবি অখিল গিরির। তবে আমার কাছে অনেক অভিযোগ আসছে। সে বিষয়ে প্রিন্সিপালের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর। কারা টাকা নিয়ে ভর্তি করেছে সে বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
উনিও লিস্ট পাঠিয়েছেন!
তবে কলেজের প্রিন্সিপালের দাবি, নিয়ম মেনেই সমস্ত কিছু করা হয়েছে। তবে উনি আমাকে হঠাত করে বললেন কিছু ভর্তি র লিস্ট দিতে। রেজিস্ট্রেশনের সময় লিস্ট তৈরি হয়। কলেজে এসে দেখতেই পারেন। তবে কিছু আসন খালি ছিল। সেখানে কারোর কারোর আবেদনের ভিত্তিতে ভর্তি করা হয়েছে। তবে উনিও লিস্ট পাঠিয়েছেন ওনার ছাত্রনেতারাও লিস্ট পাঠিয়েছিলেন আর ভর্তি হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর দাবি কলেজের অধ্যক্ষের। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।