মমতা-মোদী দ্বৈরথ আমেরিকা-প্রসঙ্গেও! তৃণমূল-বিজেপির বিবৃতি-যুদ্ধে উত্তাল রাজনীতি
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিকাগো সফর সংক্রান্ত মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্য নিয়ে সরগরম রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতি।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিকাগো সফর সংক্রান্ত মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্য নিয়ে সরগরম রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতি। শিকাগো সফর বাতিল হওয়া যে ভালো চোখে নেননি মুখ্যমন্ত্রী, তা বেলুড়ে মঠের অনুষ্ঠানেই বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। এবার বিদেশমন্ত্রক পাল্টা দেওয়ায় তৃণমূলও দিল মোক্ষম জবাব। তৃণমূল-বিজেপির তরজা তুঙ্গে।
মুখ্যমন্ত্রী বুধবার বেলুড় মঠে বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার ১২৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক বক্তৃতায় শিকাগো যাওয়ার ইচ্ছা ছিল বলে জানিয়ে, তাঁর সফর বাতিলের পিছনে কারও হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। এরপর বিদেশমন্ত্রক জানায়, তাঁদের কাছে এমন কোনও আবেদন আসেনি। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিকাগো যাত্রা নিয়ে কোনও আবেদন করা হয়নি।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এরপর একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি তুলে ধরেন কলকাতায় মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেলের বিবৃতি। ডেরেক দাবি করেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমেরিকা যেতে আগ্রহী শুনে কলকাতার কনস্যুলেট জেনারেল খুব খুশি হয়েছে। তিনি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্কের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন।
ডেরেক এই পরিপ্রেক্ষিতে দলের এক বিবৃতিও প্রকাশ করেন। যেখানে লেখা- বিবেকানন্দ বেদান্ত সোসাইটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি অনুষ্ঠানের জন্য শিকাগো সফরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের সম্মতিও প্রদান করেন। কিন্তু উদ্যোক্তারা জানান, অনুষ্ঠানটি বাতিল করার জন্য তাদেরকে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায় শিকাগোতে।
বিবৃতিতে প্রকাশ- ওই একই সময়ে বিজেপি-আরএসএস শিকাগোতে গ্লোবাল হিন্দু কংগ্রেস শীর্ষক একটি সম্মেলনের পরিকল্পনা করেছিল। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠান বাতিলের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে মুখ্যমন্ত্রী শিকাগো যেতে পারেননি বলে আক্ষেপ করেন গত ১১ সেপ্টেম্বরে বেলুড় মঠের অনুষ্ঠানে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই বিবৃতির পর থেকেই আবোজড়ন চলছে রাজনৈতিক মহলে।