কালো দুর্গা, দেবীর এই রূপ দেখলে হয়ে যাবেন অবাক
কালো দুর্গা, দেবীর এই রূপ দেখলে হয়ে যাবেন অবাক
কালো দুর্গা। কানে খটকা লাগছে? হ্যাঁ ঠিকই। ই এম বাইপাস থেকে বেলঘাটার দিকে যেতে বাঁদিক আয়োজিত হয় 'ধীরেন চারু স্মৃতি সংঘ'র মাতৃ আরাধনা। তার থেকে আর একটু এগিয়ে গেলেই বাঁদিকে দেখা যাবে মায়ের এই অভিনব রূপ।
পুজোর বয়স
প্রায় ২৯১ বছরের পারিবারিক দুর্গাপূজা। তবে তা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের পাবনা জেলার স্থলবসন্তপুর অঞ্চলে। নাটোরের রাণী ভবানীর আমলের শ্রী হরিদেব ভট্টাচার্য্য প্রথমবার এই পারিবারিক দুর্গাপূজার আয়োজন করেন। আদতে তিঁনি ছিলেন নদীয়া জেলার বাসিন্দা। নাটোরের রাণী মা তাঁহাকে জমি প্রদান করেন এবং হরিদেব হয়ে যান স্থলবসন্তপুরের জমিদার।
কালী পুজো
প্রসঙ্গত দুর্গাপূজা শুরুর অনেক আগে থেকেই এই ভট্টাচার্য্য পরিবারে মা কালীর পূজো হয়ে আসছিল। শ্রী হরিদেব ভট্টাচার্য্য নিজেও ছিলেন কালী ভক্ত। কিন্তু তিঁনি স্বপ্নাদিষ্ট হন এবং দুর্গাপূজা শুরু করেন। মা স্বপ্নে আদেশ দিয়েছিলেন কালো দুর্গামূর্তি পূজা করতে। সেই মত আজও কালো দুর্গামূর্তির পূজো হয়ে আসছে ভট্টাচার্য্য পরিবারে।
নিয়ম নীতি
ও-পার বাংলার পূজো এ-পার বাংলায় এলেও, নিয়ম নীতিতে কোনও ভাঁটা পড়েনি ব লে জানান কৃষ্ণাদেবী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবার বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং পূজোও ছড়িয়ে গিয়েছে পরিবারের মধ্যে। বর্তমানে ভট্টাচার্য্য পরিবারের একটি শাখার পূজো এগিয়ে নিয়ে চলেছেন ষাটোর্ধ্ব কৃষ্ণাদেবী। অন্য একটি পূজো হয় তাঁরই জ্যাঠামশাইয়ের বাড়িতে। কালীঘাটের পটুয়াপাড়া অঞ্চলে রয়েছে ভট্টাচার্য্য পরিবারের দয়াময়ী কালী মন্দিরও, যেখানে নিত্যপূজোর আয়োজন রয়েছে।
সন্তানের গায়ের রঙ স্বাভাবিক
মায়ের
রঙ
কালো
হলেও
চার
সন্তানের
গায়ের
রঙ
স্বাভাবিক।
মহিষাসুর
অবশ্য
সবুজ
রঙের।
ভট্টাচার্য্য
পরিবারের
এই
পূজো
সম্পন্ন
হয়
কালিকা
পুরাণ
মতে।
মা
এখানে
পূজিতা
হন
ভদ্রকালী
রূপে।
লক্ষনীয়
এখানে
চার
সন্তানের
গায়ের
অবস্থান
আলাদা।
মায়ের
ডানপার্শ্বে
থাকেন
লক্ষ্মীদেবী
ও
কার্ত্তিকেয়
এবং
বামপার্শ্বে
থাকেন
দেবী
সরস্বতী
এবং
গণপতি।
নিজেদের
বাড়িতে
যখন
পূজো
হত,
তখন
মহিষ
বলি
হত।
বছর
কুড়ি
হল
তা
বন্ধ
হয়ে
গিয়েছে।
বর্তমানে
পূজোর
চারদিনই
চালকুমড়ো
বলি
দেওয়া
হত।
মা
কে
দেওয়া
হয়
অন্ন
ভোগ।
পুরোহিতের
অঙ্গবস্ত্র
রক্তিম।
তন্ত্রমতেই
আরাধনা
হয়
দেবীর
এই
পরিবারে।
পথচলতি
অনেকেই
এই
প্রাচীন
পূজোকে
নিছক
এপার্টমেন্টের
পূজো
বলে
ভুল
করতে
পারেন।
কিন্তু
তা
একেবারেই
নয়।
পাবনা
জেলার
শ্রী
হরিদেব
ভট্টাচার্য্য
যে
কালো
দুর্গা
আরাধনা
শুরু
করেছিলেন,
সেই
ঐতিহাসিক
রসদ
ই
বহন
করে
নিয়ে
চলেছে
এই
পূজো।
ছবি সৌ:ফেসবুক