সোমনাথ বিতর্কে ক্ষুব্ধ রাজ্য সিপিএম-এর একাংশ! কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে প্রশ্ন-বাণ
জীবিত অবস্থায় সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হল না, সেই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় কমিটিতে চিঠি পাঠাতে চলেছে রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ।
জীবিত অবস্থায় সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হল না, সেই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় কমিটিতে চিঠি পাঠাতে চলেছে রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই দলে বাংলার তাবড় নেতারা রয়েছেন।
২০০৮ সালে দল থেকে বহিষ্কারের পরও সিপিএম বিরোধী কোনও কথা বলেননি সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। ২০১১ সালে ভোটের প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সিপিএম-এর বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠনের হয়ে কাজও করে গিয়েছিলেন তিনি। তাদের বিভিন্ন সভায় যোগদান করেছিলেন বর্ষীয়ান এই নেতা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন এই নেতা। রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান নিয়েও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। জীবিতকালে এহেন নেতাকে দলে ফেরাতে কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হল না সেই প্রশ্ন তুলেছে দলের একাংশ।
রাজ্যে সিপিএম-এর আদর্শ নিয়ে জনমানসে যে ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে, তাতে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে সামিল করলে দলের লাভ হত বলেই মত রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের।
সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় শুধু রাজ্য রাজনীতিতেই নন, দিল্লির রাজনীতিতে একটা হেভিওয়েট নাম। দলের বর্তমান পরিস্থিতিতে জীবিত অবস্থায় তাঁকে সরাসরি কেন ব্যবহার করা হল না, সেই প্রশ্নও তুলেছে দলের ওই অংশ।