কোন স্বার্থে গুরুংদের ইন্ধন জোগাচ্ছে বিজেপি, আলুওয়ালিয়াকে নিশানা পার্থর
নানা সংবিধানবিরোধী মন্তব্যে পাহাড়ে বিমল গুরুংদের ইন্ধন জুগিয়ে চলেছেন আলুওয়ালিয়া। পাল্টা দিতে তাঁর সাংসদ পদে থাকার অধিকার নিয়েই প্রশ্ন তুললেন পার্থ।
পাহাড় ইস্যুতে তৃণমূলের নিশানায় এবার দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। বুধবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সরাসরি তাঁর পদত্যাগ দাবি করলেন। পার্থবাবু বলেন, 'পাহাড়ে আগুন জ্বলছে। আর একজন সাংসদ হয়ে আলুওয়ালিয়া নানা সংবিধানবিরোধী কথা বলে চলেছেন। এভাবেই তিনি ইন্ধন জুগিয়ে চলেছেন মোর্চার আন্দোলনে। সেই কারণেই তাঁর সাংসদ পদে থাকা আর উচিত নয়।
পার্থবাবু আরও বলেন, মোর্চার জঙ্গি আন্দোলনের জেরে পাহাড় জ্বলছে। পর্যটনের ভরা মরশুমে বিপাকে পর্যটকরা। পাহাড়ের অর্থনীতি শেষ হয়ে যেতে বসেছে। এই অবস্থায় এলাকার সাংসদ হিসেবে সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ারও কিছু ভূমিকা থেকে যায়। তিনি তা না করে সংবিধান বিরোধী নানা কথা বলে চলেছেন। তার জেরে জঙ্গি আন্দোলনে আরও ইন্ধন পাচ্ছেন মোর্চা কর্মী-সমর্থকরা।
সম্প্রতি আলুওয়ালিয়া বলেন, আজ দার্জিলিং উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্যের জন্য। তিনি গোটা রাজ্যে বাংলা ভাষা আবশ্যিক করার নিদান দেন। তারপরই পাহাড়ে নেপালি ও সাঁওতালি ভাষার মানুষ প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। পাহাড়বাসীর শান্তিপূর্ণ আন্দোলন তিনি পুলিশের লাঠির জোরে দমন করতে চেয়েছিলে্ন। তার ফলেই দার্জিলিয়ের আগুন আজ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওদিন গোর্খাদের স্বার্থের কথা ভাবেননি। সেই কারণেই গোর্খারা নিজেদের বাংলা থেকে বিচ্ছিন্ন বলে মনে করছে। গোর্খা, কামতাপুরি বা রাজবংশী সমস্যা দ্রুত সমাধানের বিষয় নয়। এজন্য আলোচনাই সমাধানের প্রধান উপায়। পাহাড়ে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে রাজ্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলেও তাঁর অভিযোগ।