প্রেসিডেন্সিতে ‘হঠাৎ দেখা’! কেমন আছেন দাদা? মানিকের প্রশ্নে কী প্রতিক্রিয়া পার্থর
নয় নয় করে তিনমাস বন্দিবস্থায় রয়েছেন একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের নম্বর টু মন্ত্রীর। আর তৃণমূলেরই আর এক বিধায়ক মানিকেরও হয়ে গেল অর্ধমাস।
নয় নয় করে তিনমাস বন্দিবস্থায় রয়েছেন একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের নম্বর টু মন্ত্রীর। আর তৃণমূলেরই আর এক বিধায়ক মানিকেরও হয়ে গেল অর্ধমাস। মঙ্গলবার মানিক ভট্টাচার্যকে প্রেসিডেন্সিতে নিয়ে যাওয়ার পরই দেখা হয়ে গেল 'অগ্রজ' পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সৌজন্যের ডাক দিয়েছিলেন মানিক, কিন্তু জবাব কি মিলল 'দাদা'র?
দীর্ঘদিন পর দেখা হল পার্থ ও মানিকের। সেই কারণেই মানিক ভট্টাচার্য চেষ্টা করেছিলেন কথা বলার। ছুড়ে দিয়েছিলেন প্রশ্ন। কিন্তু কথা বলতে যা বোধায়, তা হল না এদিন। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া মানিক ভট্টাচার্যের ইডি হেফাজত শেষ হয়েছিল মঙ্গলবার। তারপর এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যদের তিনদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের সেই নির্দেশ মোতাবেক এদিন প্রেসিডেন্সি জেলে ঠাঁই হয় মানিকের। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখানেই দেখা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। জেল সূত্রে খবর, মানিককে যে সেলে রাখা হবে, তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেলের সামনে দিয়ে যেতে হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেল পার হওয়ায় সময় মানিক ভট্টাচার্য দেখেন পার্থদা বসে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে মানিক বলে ওঠেন, পার্থদা, কেমন আছেন?
পার্থ চট্টোপাধ্যায়েক দিক থেকে কোনও জবাব আসেনি। তিন মাসেরও বেশি সময় হয়ে গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে রয়েছেন। নিজেকে বইয়ের মধ্যে ডুবিয়ে রেখেছেন। কারও সঙ্গে তেমন একটা কথা বলেন না। মানিককে দেখেও তিনি উল্টোদিকে মুখ করে ঢুকে যান। বলা যায় একপ্রকার এড়িয়ে যান। উত্তরও তাই দেননি মানিকের প্রশ্নের। ব্যর্থ মনোরথ হয়ে নিজের সেলের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। যাওয়ার সময় দাদার সাড়া না পেয়ে আক্ষেপসূচক ঘাড় নাড়তে দেখা যায় তাঁকে।
ইডি তাঁদের কেস ডায়েরিতে নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকা তোলার বিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যকে একই বন্ধনীতে রেখেছিলেন। পার্থ ও মানিকের মধ্যে টাকা নিয়ে বচসার কথাও উল্লেখ করা হয় চার্জশিটে। পার্থ ও মানিকের সখ্যতা নিয়েও অনেক রটনা রয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের সভাপতি হওয়ার পিছনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা ছিল বলেও অনেকে মনে করেন। রাজ্য রাজনীতিতে তাঁদের সৌজন্য চিরকাল বজায় ছিল। কিন্তু এদিন সেই সৌজন্যের ধার ধারলেন না পার্থ। নিজেকে আড়ালই রাখলেন পার্থ। শুধু পরিচিত এক কণ্ঠস্বর শুনে একবার ঘাড় ঘোরালেন পার্থ। এটুকুই যা!