পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে, ১৪ মে ভোট একপ্রকার অনিশ্চিতের খাতায়
ই-নোমিনেশনে মান্যতার পর বাহিনী কাঁটায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভবিষ্যৎ পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে গেল। মঙ্গলবার শুনানি শেষেও পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে জটিলতা কাটল না।
ই-নোমিনেশনে মান্যতার পর বাহিনী কাঁটায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভবিষ্যৎ পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে গেল। মঙ্গলবার শুনানি শেষেও পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে জটিলতা কাটল না। পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তাবিত দিন হয়েই রয়ে গেল ১৪ মে। এখন চূড়ান্ত দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
[আরও পড়ুন:ই-মেলে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন! কেন এই প্রক্রিয়া, যা যুক্তি দিল হাইকোর্ট]
অর্থাৎ নির্ধারিত দিনের চারদিন আগে পর্যন্ত শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষকেই তাকিয়ে থাকতে হবে, আদৌ পঞ্চায়েত ভোট হয় কি না। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে একেবারে বেনজির ঘটনা ঘটতে চলেছে, যেখানে ভোটের চারদিন আগে পর্যন্তও নিশ্চিত নয় ভোটের ভবিষ্যৎ।
এদিন প্রথম মামলায় বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার নির্দেশ দেন, ই নোমিনেশন গ্রহণ করতে হবে। তার ফলে এখন নতুন করে আরও কিছু বুথে ভোট হবে। তারপর প্রার্থীদের স্ক্রুটনি, ব্যালট পেপার ছাপানো ইত্যাদির কাজও করতে হবে। ফলে এই স্বল্প সময়ে তা সম্পন্ন করা একপ্রকার অসম্ভব বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে রাজ্য সরকার যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে, তাতে সন্তুষ্ট নন প্রধান বিচারপতি জগন্নাথ ভট্টাচার্য। তিনি একপ্রকার ভর্ৎনার সুরেই জনিয়েছেন, এই বাহিনী সংখ্যা কি অপ্রতুল নয়? রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে জিজ্ঞাসা করেছেন এই বাহিনী কি এক দফায় ভোট করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত? তারপর কমিশনের মতামতও নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এরপর তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু এদিনের মধ্যে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব হয়নি।
সেই কারণেই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। তাই আরও দুদিন অপেক্ষা করতে হবে আদৌ রাজ্যে নির্ধারিত দিনে ভোট হয় কি না। এই অবস্থায় ভোটের ভবিষ্যৎ একপ্রকার অন্ধকার হয়েই গিয়েছে রাজ্যে।
[আরও পড়ুন: ই-নোমিনেশনে মান্যতা হাইকোর্টের, পঞ্চায়েত মামলায় যুগান্তকারী রায়ে বিজয়ী সিপিএম]