কেন্দ্রের কাছে থাকা নেতাজি সংক্রান্ত নথি কবে প্রকাশিত হবে? উঠছে প্রশ্ন
কলকাতা, ১৯ সেপ্টেম্বর : নিজেদের কথা রেখে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সংক্রান্ত ৬৪টি গোপন নথি প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। নেতাজি সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য জনসমক্ষে আসুক সেকথাও শুক্রবার নথি প্রকাশের পর বলতে দ্বিধা করেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। [স্বাধীন ভারতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সান্নিধ্য পেয়েছিলেন এঁরা!]
স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সেরা সেনানি তথা ভারতের বীরপুত্র নেতাজি সম্পর্কে এতদিনের রহস্যের পর্দা উন্মোচনের জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছেন মমতা। [১৯৮৫ সালে স্বাভাবিক মৃত্যু হয় নেতাজির!]
রাজ্যের হাতে থাকা সবকটি ফাইলই প্রকাশিত হয়েছে এবং সেখানে মোট ১২ হাজারের বেশি পাতা জুড়ে রয়েছে নানা অপ্রকাশিত তথ্য। সব তথ্যই খুব গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে নথি দেখে তাঁর মনে হয়েছে, ১৯৪৫ সালের পরেও সম্ভবত জীবিত ছিলেন নেতাজি। [ব্রিটিশদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ীই নেতাজির পরিবারের উপর গোপন নজরদারি চলেছিল!]
যদিও ইতিহাসবিদ থেকে শুরু করে নেতাজির পরিবারের সদস্য কৃষ্ণা বসুর মতো কেউ কেউ এখনই সেব্যাপারে সহমত পোষণ করছেন না। নেতাজি পরিবারের সদস্য তৃণমূল সাংসদ তথা ইতিহাসবিদ সুগত বসু তাঁর লেখা বইয়েও সেকথা স্পষ্ট করেছেন। যদিও সাধারণ মানুষের আবেগ মথিত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মতোই। [নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য : সব জানতেন নেহেরু, গান্ধী, প্যাটেল?]
ঘটনা হল, রাজ্যের প্রকাশিত গোপন নথিতে আলোচনা করার মতো খুব বেশি উল্লেখযোগ্য তথ্য নেই। এমনটাই জানা গিয়েছে। নেতাজি বেঁচে রয়েছেন বা থাকতে পারেন এমন কয়েকটি আবেগতাড়িত বক্তব্য ও নেতাজির পরিবারের উপরে সরকারি নজরদারি ব্যতীত সেভাবে অন্তর্ধান রহস্যের জট এই ফাইল থেকে খোলা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফলে অধিকাংশেরই বক্তব্য হল, কেন্দ্রের হাতে থাকা নেতাজি সংক্রান্ত হাজারো নথিই একমাত্র দিশা দেখাতে পারে নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যের। দীর্ঘ এতদশক ধরে সেগুলি অপ্রকাশিত হয়ে রয়েছে। সেগুলিই দায়িত্ব নিয়ে জনসমক্ষে আনুক নরেন্দ্র মোদী সরকার।