ব্রিটিশদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ীই নেতাজির পরিবারের উপর গোপন নজরদারি চলেছিল : কর্নেল নিজামুদ্দিন
আজমগড়, ১৭ এপ্রিল : সর্বভারতীয় একটি সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন জীবনের শেষ সায়াহ্নে পৌঁছে যাওয়া নেতাজির প্রাক্তন দেহরক্ষী কর্নেল নিজামুদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ীই নেতাজি ও তাঁর পরিবারের লোকেদের উপর গোপন নজরদারি চলেছিল।
আরও পড়ুন : বিমান দুর্ঘটনায় নয়, ১৯৮৫ সালে স্বাভাবিক মৃত্যু হয় নেতাজির!
গোপন নজরদারি চালানোর ঘটনা সত্য : নিজামুদ্দিন, নেতাজির দেহরক্ষী
নেতাজি সংক্রান্ত ৬৪টি ফাইল কলকাতার 'গোপন সেলে' বন্দী!" />নেতাজি সংক্রান্ত ৬৪টি ফাইল কলকাতার 'গোপন সেলে' বন্দী!
ব্রিটিশদের সঙ্গে ভারত সরকারের যে চুক্তি হয় তাতে বলা ছিল, যারা ইংরেজদের বিরুদ্ধাচারণ করে জার্মানদের সামরিক সাহায্য করেছিল তাদেরকে আটকে রাখতে হবে বা তাঁদের উপর নজরদারি চালাতে হবে। সেই অনুযায়ীই নেতাজি বা তাঁর পরিবারের উপর নজরদারি চলে বলে দাবি করেছেন কর্নেল নিজামুদ্দিন।
একইরকম আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ১৯৪৫ সালের বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু মারা গিয়েছেন বলে যে খবর প্রচারিত হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। নিজামুদ্দিন বলেছেন, "১৯৪৭ সাল পর্যন্ত আমি আমার নেতার (নেতাজি) সঙ্গেই ছিলাম।" ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ দশ বছর তিনি নেতাজির দেহরক্ষী হিসাবে কাজ করেছেন বলেও জানিয়েছেন ১১৫ বছর বয়সী এই মানুষটি।
জানা গিয়েছে, ১৯০০ সালে জন্মগ্রহণ করে নিজামুদ্দিন সাহেব মাত্র ২৩ বছর বয়সে দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে তাঁর পিতা শেখ ইমাম আলির কাছে চলে যান। সেখানে তাঁদের পারিবারিক হোটেল ব্যবসা ছিল।
নিজামুদ্দিনের বয়ানে, সেখানেই তাঁর মতো বহু ভারতীয় যুবক নেতাজির ডাকে সাড়া দিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দেন। এরপর ১৯৩৭ সালে নেতাজির সংস্পর্শে এলে তিনি নিজামুদ্দিন সাহেবকে নিজের দেহরক্ষী পদে নিয়োগ করেন। এরপরই দীর্ঘ দশ বছর সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে সঙ্গে থেকে নানা অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন বলে দাবি করেছেন কর্নেল নিজামুদ্দিন।