সাসপেন্স রেখে খুঁটিপুজো মহম্মদ আলি পার্কে, পুজোয় থাকবে বড় চমক
Array
খুঁটি পুজোর মধ্য দিয়ে মহম্মদ আলী পার্কের যুব সমিতির শারদীয়ার ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। মাম্মদ আলী পার্ক যুব সমিতি শহরের অন্যতম আকর্ষণীয় পূজা। মধ্য কলকাতার এই পুজোর মণ্ডপের চেয়েও বেশি তাঁদের ঠাকুর দেখতে বেশি মানুষ ভিড় জমান। প্রত্যেক বছর বিভিন্ন বিষয়ে উপর বার্তা দেয় তাঁদের প্রতিমা। এবারেও সেইরকম কিছু চমক অপেক্ষা করে রয়েছে বলে জানাচ্ছেন পুজোর কর্মকর্তারা।
সারা শহর জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে খুঁটি পুজো। মহম্মদ আলী পার্কের যুব সংঘের পুজোর ঢাকেও এদিন কাঠি পড়ে গেল। গত বছর পর্যন্ত তারা কড়া করোনা বিধি মেনেছে। করোনাকে মণ্ডপের থিম করে হয়েছিল পুজো। তার আগে মাহিস্মতি এবং তার আগে চিকিৎসক বিতর্ক নিয়ে প্রতিমা গড়ে চমকে দিয়েছিল এই ক্লাব। এইবারে কী চমক অপেক্ষা করে রয়েছে দর্শকদের জন্য তা অবশ্য ভাঙল না কর্তৃপক্ষ। জিইয়ে রাখল সাসপেন্স, তা বলা যেতেই পারে।
মহম্মদ আলি পার্ক এটি ৫৪ তম বছর। এবার তারা আবারও বিশেষ চমক দিতে চাইছেন বলে জানাচ্ছেন।প্যান্ডেল তৈরি, প্রতিমা, পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি , এটাই মহম্মদ আলী পার্ক যুব সমিতির পুজোর ইউএসপি। পূজার সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র কে শর্মা বলেন, "মহম্মদ আলী পার্কের অ্যাসোসিয়েশনের পুজো বিগত বছরগুলোতে যেমন হয় সেভাবেই হবে। করোনা বিধির মধ্যেই প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ দর্শকের সমাগম হয়েছে মণ্ডপের সীমার বাইরে। শহরে অনেক থিম পুজো তো হয় এবারও হবে, শুধু অপেক্ষা করুন এবং আমাদের অংশের চমকের জন্য। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এই বছরও মানুষ আমাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করবে।"
অনুষ্ঠানে উপস্থিতিতে ছিলেন বিবেক গুপ্তা, বিধায়ক; রেহানা খাতুন, কাউন্সিলর ও বরো চেয়ারম্যান। খুটি পূজায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান কমিটির সদস্যরা। ছিলেন মনোজ পোদ্দার (চেয়ারম্যান) , রাম চন্দ্র বাদোপালিয়া (প্রধান পৃষ্ঠপোষক) , ওম প্রকাশ পোদ্দার (ভাইস চেয়ারম্যান), প্রমোদ চন্দক (ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট), দুলাল মৈত্র (সহ-সভাপতি), জিসি শ, বিমল ঝুনঝুনওয়ালা, মহম্মদ শহিদ, বিজয় আগরওয়াল (সংগঠক) , পবন বনসাল, দেওকি নন্দন ধেলিয়া, অশোক ওঝা, গণেশ শর্মা, পবন শর্মা (যুগ্ম সচিব) , সুভাষ চন্দ্র গোয়েঙ্কা (কোষাধ্যক্ষ) , সুরেন্দ্র কে. শর্মা (সচিব)।