কলকাতায় জোড়া খুন-কাণ্ডের রহস্যভেদ পুলিশের? ডায়মন্ডহারবার থেকে আটক মা-ছেলে
গড়িয়াহাট জোড়া খুন হত্যা-রহস্যে জট! কেন খুন? অপরাধীরা কি পরিচিত নাকি অপরিচিত? তদন্তে নেমে একাধিক প্রশ্ন খুঁজছে লালবাজারের গোয়েন্দারা। গত কয়েকমাস ধরে মৃত সুবীর চাকি তাঁর গড়িয়াহাটের বাড়িটি বিক্রি করার পরিকল্পনা করছিলেন।
গড়িয়াহাট জোড়া খুন হত্যা-রহস্যে জট! কেন খুন? অপরাধীরা কি পরিচিত নাকি অপরিচিত? তদন্তে নেমে একাধিক প্রশ্ন খুঁজছে লালবাজারের গোয়েন্দারা। গত কয়েকমাস ধরে মৃত সুবীর চাকি তাঁর গড়িয়াহাটের বাড়িটি বিক্রি করার পরিকল্পনা করছিলেন।
রবিবারও সেই বিষয়ে কথা বলতে সেই বাড়িতে যান সুবীরবাবু। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, বাড়ি বিক্রি নিয়ে একজনের সঙ্গে দেখা করতেই রবিবার গড়িয়াহাটের বাড়িতে যান তিনি। আর এরপরেই বাড়ির তিনতলা থেকে উদ্ধার হয় সুবীর বাবু এবং তাঁর ড্রাইভারের মৃতদেহ।
কিন্তু সেদিন কি ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়েছিল সুবীর চাকির? ঘটনার প্রথমদিন থেকেই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। আর সেই কারনে যারা ওই বাড়ি কিনতে চেয়েছিলেন তাঁদের একটি নামের তালিকা তৈরি করেছে লালবাজারের গোয়েন্দারা।
বেশ কয়েকজনকে আটক
অন্যদিকে গড়িয়াহাটের জোড়া খুনের ঘটনাতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে লালবাজার। তাঁদের জেরা করে ডায়মন্ডহারবার থেকে সন্দেহভাজন আরও দুজনকে আটক করল পুলিশ। জানা যায়, আটক দুজন মা এবং ছেলে। বাড়িতে আয়ার কাজ করতেন ওই মহিলা। আর ওই সূত্রেই ছেলে বাড়ি বিক্রি সংক্রান্ত বেশ কিছু কাজ করত। পুলিশ মনে করছে এই ঘটনার সঙ্গে সম্ভবত কোনও যোগ থাকতে পারে। আর সেই কারনে আটক দুজনকে লালবাজারে নিয়ে এসে জেরা করবেন গোয়েন্দারা।
অনেকের সঙ্গে মত বিরোধ চলছিল!
পাশাপাশি তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন একাধিক জায়গা থেকে বাড়ি কেনার জন্যে সুবীরবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেই তালিকাতে যেমন রয়েছে গড়িয়াহাট অঞ্চলের এক দালাল। আবার অন্যদিকে সল্টলেক অঞ্চলের দুই দালাল রয়েছেন। আলাদা আলাদা ভাবে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের বুধবারই লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের জেরা করে কোনও তথ্য পাওয়া যায় কিনা সেদিকেই নজর গোয়েন্দাদের। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে , বাড়িটিকে বিক্রি করার জন্যে দেড় কোটি টাকা দাম ধরেছিলেন সুবীরবাবু। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন এই টাকা নিয়ে অনেকের সঙ্গে মত বিরোধ চলছিল। আর সেই সংক্রান্ত বিষয়ে খুন কিনা তা জানার চেষ্টা তদন্তকারীদের।
স্নিফার ডগের সাহায্য নিচ্ছেন তদন্তকারীরা।
ইতিমধ্যে সুবীর চাকি এবং তাঁর ড্রাইভারকে খুনের ঘটনার তদন্ত হাতে নিয়েছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশের সায়েন্টিফিক উইং। পায়ের ছাপ, বা রক্তের দাগ কোথাও রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই সুবীর চাকির বাড়ি থেকে বালিগঞ্জ স্টেশন পর্যন্ত স্নিফার ডগ দিয়ে তল্লাশি হয়েছে। স্নিফার ডগের সাহায্য নিচ্ছেন তদন্তকারীরা।