৭৫ স্পেশাল, রাধা কৃষ্ণের প্রেমে মাতবে কলেজ স্কোয়্যার
Array
৭৫ এ এসে শ্রীকৃষ্ণের দেশে ইটালিয়ান মার্বেল পাথরের তৈরি বৃন্দাবনের রাধা কৃষ্ণের প্রেম মন্দির, সাথে চন্দন নগরের বিখ্যাত আলোক সজ্জা, লেজার রশ্মির খেলা, আলোক মালায় বিখ্যাত ৭৫ জন মনীষির জীবন কাহিনী, বিখ্যাত ভাস্কর সনাতন রুদ্র পালের সনাতনী মাতৃপ্রতিমার ৭৫ তম বর্ষে কলেজ স্কোয়ার সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সেরা আকর্ষণ।
মধ্য কলকাতার দুর্গাপূজোর মধ্যে অন্যতম কলেজ স্কোয়ার সার্বজনীন, কোলকাতার ঐতিহ্যবাহী পুজো গুলোর মধ্যে অন্যতম। এ বছরে এই পুজো ৭৫ তম বর্ষে পদার্পণ করল। অগনিত দর্শনার্থী প্রতিবছর এই পুজো দেখতে আসেন। এই পুজোর একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল এর আলোর রোশনাই, যা আমাদেরকে মুগ্ধ করে। এই বছর তাদের মন্ডপ নির্মাণ হচ্ছে বৃন্দাবনের প্রেম মন্দির এর আদলে। পূজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। আশা করা যায় এ বছরও দর্শনার্থীদের মন ভরিয়ে দেবে কলেজ স্কোয়ার সার্বজনীন।
ইউনেস্কো বাংলার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিদেশ থেকে এবার পুজোয় অনেক অভ্যাগতরা আসবেন, কলকাতার পুজো দেখতে। আসবেন ইউনেসকোর প্রতিনিধি। কার্নিভ্যালেও অংশ নেবেন বিদেশি অভ্যাগতরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবার ১ সেপ্টেম্বর থেকেই পুজো বাদ্যি বেজে যাবে। ওইদিন মহামিছিলের মধ্যে দিয়ে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে কলকাতা তথা বাংলায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওইদিন কলকাতার রাজপথে মানুষের ঢল নামবে। বেলা ১টার মধ্যে স্কুলছুটির পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। রাজ্যের প্রায় ১০ হাজার পড়ুয়াকে ওইদিন মিছিলে শামিল করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। মোট কথা, ওইদিন থেকেই পুজোর বাদ্যি বাজিয়ে দিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পড়ুয়ারাই আমাদের ভবিষ্যৎ, আমরা চাই ওরা এই ঐতিহাসিক দুর্গাপুজোর মিছিলের সাক্ষী থাকুক।
বাংলার বড় উৎসব দুর্গাপুজো। তা বিশ্বের দরবারে অন্যতম সেরা উৎসবের স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে ইতিমধ্যেই। বাংলার দুর্গাপুজো ঢুকে পড়েছে ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের তালিকায়। ইউনেস্কো বাংলার দুর্গাপুজোকে বিশ্ব-স্বীকৃতি দেওয়ায় মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্যোকোপাধ্যায়। ১ সেপ্টেম্বর বেলা ২টোয় জোড়াসাঁকো ঠাকরুরবাড়ি থেকে মিছিল করবে। ধর্মতলায় শেষ হবে মিছিল। সেখানে মঞ্চে মাটির দুর্গা প্রতিমা নিয়ে সংবর্ধনাজ্ঞাপন করা হবে ইউনেস্কোকে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ১১ দিন ছুটি থাকবে টানা। এছাড়াও কালীপুজোর ছুটি থাকবে। ছুটি থাকবে ছট পুজোরও। এবার মহালয়া পড়েছে ২৫ সেপ্টেম্বর। তারপরই শুরু হয়ে যাচ্ছে দেবীপক্ষ। ৩০ সেপ্টেম্বর পঞ্চমীর দিন থেকে ছুটি পড়ছে পুজোর। ৫ অক্টোবর দশমী। ৫, ৬ ও ৭ অক্টোবর পর্যন্ত জেলার প্রতিমা বিসর্জন চলবে। জেলায় কার্নিভাল হবে ৭ অক্টোবর। ৮ অক্টোবর কলকাতায় কার্নিভালের পর বিসর্জন হবে।