প্রশ্ন ফাঁসে জড়াল মানিক ভট্টাচার্যের নাম! 'নিয়োগ দুর্নীতির কিং পিন'-এর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত ইডির
প্রশ্ন ফাঁসে জড়াল মানিক ভট্টাচার্যের নাম! 'নিয়োগ দুর্নীতির কিং পিন'-এর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত ইডির
ইডির হেফাজতে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। ম্যারাথন জেরার মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, পরীক্ষার আগেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশ্ন পৌঁছে যেত। এই অভিযোগ নিয়ে তথ্য যাচাই করে দেখছেন ইডির আধিকারিকরা।
মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চালানোর সময় ইডির আধিকারিকরা টেট পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পান। সেখানে তাঁরা আরও অভিযোগ পান, মানিক ভট্টাচার্যের মদতেই এই প্রশ্ন ফাঁস করা হয়েছিলষ। মানিক ভট্টায়চার্যের ঘনিষ্ঠদের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সেই প্রশ্ন আগে পৌঁছে যেত বলে অভিযোগ। এব্যাপারে সেইসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের তরফে প্রাথমিকে চাকরির টোপ দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হত বলে অভিযোগ। টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার দিন ওএমআর শিটগুলিতে সঠিক উত্তরের যোগান দিয়ে ভরানো হত বলেও অভিযোগ।
মানিক ঘনিষ্ঠের অ্যাকাউন্টে নজর
নিয়োগ
দুর্নীতিতে
মানিক
ভট্টাচার্যের
বিরুদ্ধে
তদন্ত
চালাতে
গিয়ে
উঠে
এসেছে
ঘনিষ্ঠ
তাপস
মণ্ডলের
নাম।
এই
মুহূর্তে
তাপস
মণ্ডলের
অন্তত
৩৫
টি
ব্যাঙ্ক
অ্যাকাউন্টের
ওপরে
নজরদারি
চালাচ্ছে
কেন্দ্রীয়
তদন্তকারী
সংস্থা।
ওই
অ্যাকাউন্টগুলিতে
টাকার
লেনদেন
খতিয়ে
দেখছেন
ইডির
তদন্তকারী
আধিকারিকরা।
তাপস
মণ্ডলের
বাড়ি
থেকে
যে
আটটি
মোবাইল
উদ্ধার
করা
হয়েছে,
সেগুলিও
খতিয়ে
দেখছেন
তদন্তকারী।
এছাড়াও
ইডির
তদন্তকারীরা
এমন
চারটি
এনজিও-র
খোঁজ
পেয়েছেন,
যেগুলির
সঙ্গে
তাপস
মণ্ডলের
ঘনিষ্ঠ
যোগাযোগ
রয়েছে।
এই
সংস্থাগুলির
মাধ্যমে
কালো
টাকা
সাদা
করা
হয়েছে
বলে
অভিযোগ।
নিয়োগ দুর্নীতিতে তলব তৃণমূল নেতাকে
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে বীরভূমের নলহাটির তৃণমূল নেতা বিভাস অধিকারীকে। এই নেতার বেশ কয়েকটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অর্থাৎ বিএড কলেজ রয়েছে। তাপস মণ্ডলের ব্যাপারে তদন্ত চালাতে গিয়ে ইডির আধিকারিকরা উত্তর কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটে একটি বহুতলের সন্ধান পান। যা ওই তৃণমূল নেতার। জানা যায়, বিভাস অধিকারী তাপস মণ্ডলকে সেই ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছিলেন।
বাম আমলের পরে তৃণমূলের জমানাতেও রমরমা
তাপস মণ্ডলের ইতিহাস ঘাটতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, বাম আমলে চিটফান্ডের কারবার করতেন তাপস মণ্ডল। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার মিনার্ভা ফিনান্স নামে একটি সংস্থা তৈরি করে মোটা টাকা সুদের লোভ দেখিয়ে প্রায় তিন কোটি টাকা তোলেন। এছাড়াও বাম আমলে এক দমকলমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের সুবাদে টাকার বিনিময়ে বেশ কয়েকজনকে তিনি চাকরি পাইয়ে দেন বলেও অভিযোগ। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া এক বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের কাছে এই তাপস মণ্ডল এখনও প্রতারক হিসেবেই পরিচিত হয়ে রয়েছেন।
ভোট না দিলে কর্মীদের নাম প্রকাশ! গুজরাতের কর্পোরেট সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তি নির্বাচন কমিশনের