স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের অফিসে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য, দেওয়া হবে চাকরি, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের (rail) অফিসে অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য (rekief) এবং সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে এমনটাই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। এই ঘটন
স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের (rail) অফিসে অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য (relief) এবং সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে এমনটাই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। এই ঘটনায় রেলের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
রেলের ভূমিকায় প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর
নিউ কয়লাঘাটা বিল্ডিং-এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ রেলের তরফে কেউ আসেনি। বহুতলের ম্যাপ চাওয়া হয়েছিল। তাও পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চান না। তবে যেহেতু রেলের জায়গা, তাই দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর থেকে তিনি খোঁজ করে জানতে পেরেছেন, কেউ আসেননি।
মৃত ও আহতদের পরিবারকে সাহায্যের কথা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
মুখ্যমন্ত্রী যেসময় সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন, সেই সময় নিখোঁজ ছিলেন অন্তত দুজন। তিনি জানান, লিফটে মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। তাঁদের মধ্যে চারজন দমকলকর্মী। বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন সরকার ঠিক করেছেন মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা এবং পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, মৃত্যুর কোনও বিকল্প হয় না।
লিফট ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন
এদিকে আগুন লাগার ঘটনার সময় দমকলকর্মীদের লিফট ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সকলেরই জানা উচিত আগুন লাগলে লিফট ব্যবহার করা উচিত নয়। হয়ত তাড়াতাড়ি হবে, সেই ভেবেই তাঁরা লিফটে উঠেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বন্ধ বুকিং
এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে বন্ধ হয়ে যায় রেলের অনলাইন টিকিট বুকিং। উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্ব রেলের সমস্ত বুকিং বন্ধ হয়ে যায়। আগুন নেভাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতেই বন্ধ হয়ে যায় সার্ভার এবং লাইব্রেরি। সকালেও বেশ কিছু ট্রেনের সংরক্ষিত তালিকা প্রকাশ নিয়ে অসুবিধায় পড়েন রেলের কর্মীরা।