চিটফাণ্ড-কাণ্ডে আরও তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হবেন: দিলীপ
বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতা-কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছে। সবে তো মাত্র দুজন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই, আর তাতেই রাজ্যজুড়ে তান্ডব চালাচ্ছে তৃণমূল। মন্তব্য দীলিপ ঘোষের।
কলকাতা, ৪ জানুয়ারি : সবে তো মাত্র দুজন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই, আর তাতেই রাজ্যজুড়ে তান্ডব চালাচ্ছে তৃণমূল। এরপর আরও নেতা গ্রেফতার হলে বাংলার গ্রামে গ্রামে আগুন জ্বলবে৷ বুধবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এসে বাইরে সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনটাই অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শুধু তাই নয় দিলীপ ঘোষের আরও দাবি, শুধু তৃণমূলের এই দুই সাংসদই নয়, চিটফাণ্ড-কাণ্ডে এরপরও আরও তৃণমূল নেতা গ্রেপ্তার হবেন বলে দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে এদিন সকালেই রাজ্যপালের কাছে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি করে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের কাছে প্রশ্ন করা হয়। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপাতত রাজ্য সরকারকে আরও একটি সুযোগ দিতে চান তারা। এরপরেই রাজ্যে বিজেপি কর্মী কিংবা বিজেপি পার্টি অফিস ভাঙচুর হলে জোরদার আন্দোলন শুরু করবেন বলে রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের।
অন্যদিকে, শুধু রাজ্যপালের কাছে সরব হওয়াই নয়, রাজ্যের আইনশৃঙ্খা ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গেও দেখা করবেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। সেখানেও রাজ্যে বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হবে। মনে করা হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশে রেখেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে রাজনাথের কাছে নালিশ জানাবেন রাহুল সিনহা।
তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। মঙ্গলবার সাংসদের গ্রেফতারের পর কলকাতায় রাজ্য বিজেপি দফতরে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। ব্যাপক ভাঙচুর এবং বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু কলকাতায় নয়, উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তেও। জেলার একাধিক জায়গায় রাতের অন্ধকারে বিজেপি পার্টি অফিস ভাঙচুর চালানো হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় বিজেপি পোস্টার, পতাকা। এই অবস্থায় নিরাপত্তা দিতে রাজ্য সরকার ব্যথ বলে অভিযোগ বিজেপি নেতাদের। আর সেই কারণেই আজ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি জানাবেন বিজেপি নেতারা।