পাকিস্তানে কার সরকার, আজ রাতেই জানা যাবে নাম, ভোট শেষে শুরু গণনা
পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনে শুরু হয়ে গেল ভোট গণনা। আজ রাতের মধ্যেই জয়ী-বিজয়ীদের সম্পর্কে ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনে শুরু হয়ে গেল ভোট গণনা। আজ রাতের মধ্যেই জয়ী-বিজয়ীদের সম্পর্কে ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও, এদিন ভোটগ্রহণ সময় অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পরেও বহু জায়গায় ভোট নেওয়া হয়। কিন্তু, যে সব স্থানে ভোটগ্রহণ সমাপ্ত হয়ে যায়, সেখানেই শুরু করে দেওয়া হয় ভোট গণনার কাজ।
People who are voting for the first time in their lives are supporting @ImranKhanPTI and have casted their votes; last 1.5 hours remaining, when are you going to cast your vote ?
— PTI (@PTIofficial) July 25, 2018
VOTE NOW for a Naya Pakistan 🇵🇰#BallayPeThappa pic.twitter.com/cIshKxOnc4
বুধবার সকাল ৮ থেকে পাকিস্তানে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ও প্রভিনশনাল অ্য়াসেম্বলি মিলিয়ে মোট ৮৪৯টি আসলে ভোটগ্রহণ হয়। ১২,৫৭০ জন প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটগ্রহণে শ্লথগতির অভিযোগে সরবও হয় রাজনৈতিক দলগুলি এবং ১ ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় ভোটদানের দাবিও জানানো হয়। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায় ভোটগ্রহণের সময় শেষ হয়ে গেলেও অসংখ্য ভোটদাতা তখনও লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ব্যালটে ভোট নেওয়ায় সময় আরও বেশি লেগে গিয়েছে বলে দাবি করে রাজনৈতিক দলগুলি। পিএমএল-এন অবশ্য আবার ভোটের শ্লথ গতির আড়ালে রিগিং-এের অভিযোগ আনে। সেনাবাহিনী, আইএসএসআই-এর ষড়যন্ত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে ভোটগ্রহণের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
Counting of ballot papers continues in NA-124 Lahore#PakistanKoVoteDo https://t.co/wLHefkRSPp pic.twitter.com/jjgrWaS8wa
— Geo English (@geonews_english) July 25, 2018
যেখানে যেখানে সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ভোটদাতারা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন সেখানেও নির্বাচন কমিশন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, যাঁরা ভোট ক্ষেত্রের চৌহদ্দির সীমানা পার করে ভিতরে আসতে পেরেছেন তাঁদেরকেই শুধুমাত্র ভোট দিতে দেওয়া হবে। এই নিয়েও অসন্তোষ ছড়ায়।
মনে করা হচ্ছে সমস্ত আসনের ফল ঘোষণা হতে হতে সকাল হয়ে যাবে। এদিকে, পাকিস্তানের এদিন ভোট গ্রহণের মধ্যে নাশকতার ঘটনা ঘটে। কোয়েটায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ২৯ জনের মৃত্যু হয়। বিভিন্ন স্থানে হিংসায় ৩ প্রার্থীরও মৃত্যু হয়েছে।
সন্ত্রাসের আবহে যদিও ভোটদাতাদের সংখ্যা কমেনি। সন্ত্রাসের হুমকির মধ্যেও অধিকাংশ ভোটিং বুথেই মানুষ হাজির হয়েছেন তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে। এরই মধ্যে ভোটদাতাদের উদ্দেশে সতর্ক বার্তাও দেয় তেহরিক-ই-তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠী। এই জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম করে পোস্টারও দেওয়া হয়। যেখানে ভোটদাতাদের পরিসষ্কার করে ভোটকেন্দ্রগুলি থেকে দূরে থাকার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। নচেৎ ভোটদাতাদের প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে বলে এই হুমকিভরা পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছিল।
উত্তর ওয়াজিরিস্তানের খাইসোরে পোলিং আধিকারিক বুথেই যাননি। ফলে এখানে ১২০০ ভোটদাতা ভোট দিতে পারেনি। এই নিয়ে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায়।
ভোটগ্রহণে সাধারণ মানুষ যেভাবে নিরাপত্তা আধিকারিকদের সহযোগিতা করেছে এবং ভালবাসা ব্যক্ত করেছে তাতে অভিভূত আইএপিআর-এর ডিজি মেজর জেনারেল আসিফ ঘাফুর। তিনি এই নিয়ে বেশকিছু টুইটও করেছেন।
Thank you fellow Pakistanis. World has seen your love & respect for Pak Armed Forces & LEAs today. U hv rejected all kinds of malicious propaganda. We are strong because we have your unflinching support. Our lives are dedicated to Pakistan and its People.
— Maj Gen Asif Ghafoor (@OfficialDGISPR) July 25, 2018
🇵🇰Pakistan wins again! pic.twitter.com/MGbujoGjZk
এদিকে ইসিপি যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ২৭২ আসনে এদিন ভোটগ্রহ হয়েছে। আর এই আসনে ৩,৪৫৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। পঞ্জাব থেকে ১৬২৩জন, সিন্ধু থেকে ৮২৪ জন , খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে ৭২৫ জন এবং বালুচিস্তান থেকে ২৮৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেতে একটি দলকে অন্তত ১৩৭টি আসনে সরাসরি নির্বাচিত হত হবে। তাহলে সেই দল একক ক্ষমতায় সরকার গড়ার অধিকার পাবে।