টেক্সাসের স্কুলে হত্যালীলার আগে তরুণীকে টেক্সট মেসেজ আততায়ীর, কেমন ছিল সেই কথোপকথন ?
টেক্সাসের স্কুলে পড়ুয়াদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে প্রায় ১৮ জনকে খুন করে আততায়ী। জানা গিয়েছে এই বন্দুকধারীর বয়স আঠেরোর আশেপাশেই। তবে রহস্য দানা বেঁধেছে তাঁরা মেসেজ বার্তা নিয়ে। যে মেসেজ সে করেছিল এক তরুণীকে। তাঁকে বলে কয়ে তারপর এই নারকীয় হত্যালিলা চালায় ওই যুবক। জানা গিয়েছে ইন্সটাগ্রামে ওই মেসেজ করে ওই আততায়ী। আর তা নিয়ে বেড়েছে রহস্য।
রহস্য কোথায় ?
ঘটনার
কয়েক
ঘন্টা
আগে,
১৮
বছর
বয়সী
ওই
বন্দুকধারী
ইনস্টাগ্রামে
একজন
অপরিচিত
তরুণীক
বেশ
একটি
রহস্যময়
বার্তা
পাঠিয়েছিল।
আর
সেগুলি
পড়লেই
এখন
সব
যেন
দুয়ে
দুয়ে
চার
হয়ে
যাবে।
মনে
হবে
যেন
ওই
তরুণীকে
সে
বলে
কয়ে
তারপর
এই
হত্যালীলা
চালিয়েছে।
রহস্য শুরু হচ্ছে কীভাবে ?
সে "salv8dor_" নাম দিয়ে একটি ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছিল, সেটি যে ওই শ্যুটার সালভাদোর রামোস তা চিহ্নিত করেছে পুলিশ। ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট যা বন্দুকধারীর বলা হচ্ছে তাতে আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি এবং নিজের একটি সেলফি রয়েছে। অ্যাকাউন্টটিতে দুটি রাইফেলের একটি ছবিও শেয়ার করা হয়েছে এবং ওই পোস্টটি একজনকে ট্যাগ করা হয়েছে। আর সেটি একটি তরুণী।
কী বলা হয়েছে মেসেজে ?
যে তরুণীকে ওই মেসেজ করা হয়েছিল এবং ট্যাগ করা হয়েছিল সেউ ইউজারের নাম ইন্সটাতে দেওয়া রয়েছে '@epnupues'। সে বলেছে যে, রামোসকে একেবারেই সে চেনে না। অথচ সে তাকে বন্দুকের ছবিতে ট্যাগ করেছিল এবং তাকে মেসেজ করেছিল যে "একটা গোপন রহস্য আছে"। ওই তরুণী তখন তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল কেন সে তাকে রাইফেলের ছবিতে ট্যাগ করেছে, সে যে ভয় পাচ্ছে সে তাও বলেছিল।
সালভাদোর তরুনীকে সরাসরি মেসেজ করে , "আপনি আমার বন্দুকের ছবি আবার পোস্ট করবেন,"। তরুণী বলে "আপনার বন্দুকের সাথে আমার কী সম্পর্ক, আমি কী করব এসব নিয়ে?"। সালভাদোর বলে , "শুধু আপনাকে ট্যাগ করতে চেয়েছি"। মেয়েটি তখন অবাক হয়ে বলে "কি ব্যপারে?" উত্তরে সে বলেছ, "আমি তোমাকে ১১টা নাগাদ সব বলব।" সে বলে ত্তরুণীকে যে সে এক ঘন্টার মধ্যে ফের টেক্সট করবে এবং তাকে রিপ্লাই দিতেও সে বলে। ঘটনার দিন সকাল ৯.১৬ মিনিটে তার শেষ মেসেজ ছিল "আমি বেরোলাম"। তারপর যা ঘটেছে তা ভয়ঙ্কর।
টেক্সাস শুটিং
মঙ্গলবার টেক্সাসের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই বন্দুকধারী কমপক্ষে ১৮ শিশু এবং দুই শিক্ষককে হত্যা করে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দু গণহত্যার অন্যতম ভয়ঙ্কর ঘটনা এবং প্রায় এক দশকের মধ্যে দেশটির সবচেয়ে নারকীয় স্কুলে গুলি চালানোর ঘটনাগুলির অন্যতম। ১৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন, সালভাদর রামোস নামে পরিচিত। প্রথমে সে নিজের দিদাকে গুলি করে, তারপর ঘটায় বাকি ঘটনা। তাণ্ডবলীলার শেষে সে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। তাণ্ডবের পরপরই, বন্দুক আইনে সংস্কারের জন্য দাবি উঠেছে। রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন তা সমর্থন করেন। সেনেটর ক্রিস মারফিও তার রিপাবলিকান সহকর্মীদের কাছে গণহত্যা থামানোর পথ খুঁজে বের করার জন্য অনুরোধ করে।