Russia Ukraine War: ভয়ঙ্কর যুদ্ধে বিধ্বস্ত ইউক্রেনকে আলোচনার প্রস্তাব রাশিয়ার! কিন্তু...
ইউক্রেনে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া! একেবারে পরিকল্পনা করে চারপাশ ঘিরে ধরে চলছে হামলা। জানা যাচ্ছে, যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়াভের কাছাকাছি শহরে পৌঁছে গিয়েছে রুশ বাহিনী। যে কোনও মুহূর্তে তাঁরা রাজধানী
ইউক্রেনে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া! একেবারে পরিকল্পনা করে চারপাশ ঘিরে ধরে চলছে হামলা। জানা যাচ্ছে, যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়াভের কাছাকাছি শহরে পৌঁছে গিয়েছে রুশ বাহিনী। যে কোনও মুহূর্তে তাঁরা রাজধানী দখল করতে পারে।
যদিও শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই চালাচ্ছে ইউক্রেনের বাহিনী। আর এই অবস্থায় আলোচনার বার্তা রাশিয়ার তরফে। তবে শর্তসাপেক্ষে এই আলোচনার বার্তা দেওয়া হয়েছে রুশ রাজধানী মস্কোর তরফে।
রুশ বিদেশমন্ত্রী Sergei Lavrov জানিয়েছেন, মস্কো এই অবস্থায় কিয়াভের সঙ্গে আলোচনায় রাজি রয়েছে। যদি ইউক্রেনের সেনা হাতিয়ার সরিয়ে রাখে তাহলেই এই আলোচনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন রুশ মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে Sergei Lavrov স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, রাশিয়া কখনই চায় না যে ইউক্রেনে "Neo-Nazis"-এর শাসন চলুক। যদিও এহেন মন্তব্যে পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও বক্তব্য শোনা যায়নি।
তবে এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সমস্ত রাষ্ট্রগুলিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর দেশের মানুষকেই স্যালুট জানিয়েছেন। যদিও এই অবস্থায় রাশিয়ার তরফে এহেন বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনেও রাশিয়ার তরফে হামলা জারি রাখা হয়েছে। ইউক্রেনের রাজধানী সহ বিভিন্ন অংশে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, একের পর এক রাশিয়ার যুদ্ধবিমানকে ইউক্রেনের আকাশে উড়তে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলতেও দেখা গিয়েছে। কার্যত সেই ছবি ভয়াবহ। অন্যদিকে ইউক্রেনের তরফেও রাশিয়ার বিভিন্ন অংশে বোম্বিংয়ের খবর সামনে আসছে।
আর এর মধ্যে আরও এক ভয়াবহ ছবি সামনে এসেছে। ম্যাক্সার স্যাটেলাইটের বেশ কিছু ছবি সামনে আসার পরেই কার্যত ঘুম উবেছে সামরিক পর্যবেক্ষকরা। সেই এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেন সীমানায় দক্ষিণ গ্লোভচিনো এলাকায় সেনাবাহিনীর কনভয় রয়েছে। দাঁড়িয়ে রয়েছে একাধিক যুদ্ধ ট্যাঙ্ক। শুধু তাই নয়, সঙ্কেতের অপেক্ষায় রয়েছে হাজারো অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং যুদ্ধবিমান। একেবারে ইউক্রেনের সীমান্ত ঘেঁষে রাশিয়ার দিকে বিশাল সেনা সমাবেশ।
আর তা দেখে অনেকেই বলছেন এই পরিমান সেনা মোতায়েন থাকার পরেও কীভাবে শান্তির বার্তা মস্কোর তরফে?
অন্যদিকে, শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আলবেনিয়ার একটি খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেবে যা রাশিয়ার আগ্রাসন এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের নিন্দা করবে। এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী এবং ভেটোক্ষমতা থাকা সদস্য মস্কোকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিবেশী ইউক্রেন আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর বিশ্ব মঞ্চে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে জরুরী বৈঠক করে নিরাপত্তা পরিষদ৷