চাক্ষুষ না করে হোয়াটসঅ্যাপ চুক্তিতে ৪৭ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি কিনলেন এক ব্যক্তি
চাক্ষুষ না করে হোয়াটসঅ্যাপ চুক্তিতে ৪৭ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি কিনলেন এক ব্যক্তি
একে তো মহামারির প্রকোপ তারওপর লকডাউনের জেরে বাড়ি থেকে কোথাও বেড়নো যাচ্ছে না। অথচ মন করছে উড়ু উড়ু। মানুষ এখন এমন এক নির্জন জায়গায় যেতে চাইছেন যেখানে করোনার লেশমাত্র নেই। আর সেই চিন্তা থেকেই ৪,৭৩,৬৬,৫৫,০০,০০০ (৬.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) টাকা দিয়ে ব্যক্তিগত দ্বীপ কিনে ফেললেন ইউরোপিয়ান এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, সেই দ্বীপে তিনি কোনওদিন যাননি। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ভিডিওতে দেখেই ওই ব্যক্তি দক্ষিণপূর্ব আয়ালল্যান্ডে অবস্থিত ১৫৭ একরের দ্বীপ কিনে ফেলেন।
দ্বীপের অবস্থান
জানা গিয়েছে, আয়ারল্যান্ডের কূলবর্তী ওয়েস্ট কর্কে বুকোলিক অতলান্তিক অঞ্চলের অন্তর্গত রোরিং ওয়াটার বে-তে অবস্থিত ১৫৭ একর বিস্তৃত হর্স দ্বীপ কিনেছেন
হোয়াটস অ্যাপে চুক্তি
ওই ক্রেতা হোয়াটস অ্যাপ কথোপথনের মাধ্যমে বিক্রেতার সঙ্গে এই চুক্তি চূড়ান্ত করেন। দ্বীপের মালিকানা হস্তান্তরে সাহায্য করা মন্তাগ রিয়েল এস্টেটের কর্ণধার থমাস বালাশেভ বলেন, ‘ওই ব্যক্তি (ক্রেতা) ভিডিও দেখেই দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে যান। তিনি ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে এমনই একটি দ্বীপ চেয়েছিলেন। হর্স দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাঁকে আকৃষ্ট করে। দ্বীপ কেনার আগে তিনি একবারও সেই জমিতে পা রাখেননি। কেবলমাত্র সেখানকার ভিডিও দেখেছেন।'
কী কী রয়েছে সেই দ্বীপে
জানা গিয়েছে, ওই দ্বীপে সাতটি বাড়ি রয়েছে। প্রধান বাড়িতে ৬টি বেডরুম রয়েছে। এছাড়া রয়েছে একটি পিয়ার, হেলিপ্যাড, জিম, টেনিস কোর্ট, একটি প্লে-হাউস। বাড়িতে নিজস্ব বিদ্যুৎ, জল ও নিকাশি ব্যবস্থা রয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে তিনটি সৈকত, একটি কৃষি ও চারণভূমি ও সর্বোপরি দুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
হর্স দ্বীপের পূর্ব ইতিহাস
মন্তাগ রিয়েল এস্টেট জানিয়েছে, ভিক্টোরিয়ান যুগে হর্স দ্বীপে একটি তামার খনি ছিল। ১৩৭ জন বসবাস করতেন সেখানে। পরে, তা জনশূন্য হয়ে যায়। খনির ফলে স্থানীয় গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। পরে, জার্মান ধনকুবের তথা ফিটনেস বিশেষজ্ঞ আশির দশকে দ্বীপটি কিনে তা আবার পুনরুদ্ধার করেন। পরে, ২০০৭ সালে তা ফের হস্তান্তর হয়ে চলে যায় আইরিশদের দখলে। ২০১৮ সাল থেকেই এই দ্বীপকে বিক্রির জন্য ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয়। দাম রাখা হয়েছিল ৬১ লক্ষ পাউন্ড স্টারলিং। চলতি বছর দাম কমানো হয়।
কুলভূষণ মামলায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় জয় ভারতের! চাপের মুখে নতমস্তক ইসলামাবাদ