করোনা লড়াইয়ে জয়ী নিউজিল্যান্ড! যেভাবে কোভিড ১৯-কে হার মানাল এই দেশ
করোনা ভাইরাসে জেরবার গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে আমেরিকা সহ ইউরোপের বেশির ভাগ উন্নত দেশই এখনও করোনা লড়াইয়ে জয়ের পথের সন্ধান করছে। এরই মধ্যে খুশির খবর এল প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত নিউজিল্যান্ড থেকে। সেদেশ এখন করোনা যুদ্ধে জয়ী।
করোনা নিয়ে কী বললেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী?
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, তাঁর দেশে আর কোনও করোনায় আক্রান্তের খোঁজ নেই। নিউজিল্যান্ড এই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছে। এরপরই তিনি জানান, এদিন মধ্যরাতে দেশব্যাপী চালু থাকা লকডাউন কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হবে।
নতুন করে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা শূন্য
নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অ্যাশলে ব্লুমফিল্ড এই বিষয়ে বলেছেন, দেশে এখনও করোনা সংক্রমিচত ব্যক্তি রয়েছে। তবে নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হননি কেউ। এছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তিরা কোথা থেকে এই সংক্রমণ বাঁধিয়েছেন, তা জানতে পারা গিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের ৮০ শতাশ রোগী সুস্থ
সোমবার করোনা ভাইরাসে একজন নতুন ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে, একজনের মৃত্যুও হয়েছে। নিউজিল্যান্ডে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দেড় হাজরের কম। দেশটিতে আক্রান্ত ৮০ ভাগ রোগী এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। করোনায় মারা গেছে ১৯ জন।
নিউজিল্যান্ডে শিথিল করা হবে লকডাউন
গত কয়েকদিন ধরে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক অঙ্কে নেমে আসে দেশটিতে। এর ফলে মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে অত্যাবশ্যক নয় এমন কিছু ব্যবসায়িক খাত, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হবে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই লকডাউন শিথিল
এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডান এক সরকারি ব্রিফিংয়ে বলেছেন, আমরা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করছি। কিন্তু মানুষের সামাজিক জীবন এখনি আবার চালু করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডে ব্যাপক হারে অ-শনাক্তকৃত কোনও কমিউনিটি ট্রান্সমিশন নেই।
যে ভাবে করোনার সঙ্গে লড়াই করেছে নিউজিল্যান্ড
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে নিউজিল্যান্ডে যখন মাত্র ডজনখানেক রোগী শনাক্ত হন, তখনি দেশটি স্বাভাবিক কাজকর্ম এবং ভ্রমণে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। দেশটির সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়, এবং দেশটিতে প্রবেশ করা সকল মানুষকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। এছাড়া কঠোর লকডাউন আরোপ করা হয়, এবং নমুনা পরীক্ষার হার বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়।