রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য ঢাকা ও নেপিডোর মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য ঢাকা ও নেপিডোর মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় সকালে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী বৈঠকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা শায়লা রুখসানা জানিয়েছেন, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ১৫জন করে মোট ৩০জন সদস্য থাকবেন।
কমিটির নেতৃত্ব থাকবেন দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব। যৌথ কমিশনের সদস্যরা ঠিক করবেন রোহিঙ্গাদের কবে, কখন ও কীভাবে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।
তবে, এই কমিটির কাজের প্রায়োরিটি বা অগ্রাধিকারের বিষয়ে কোন বিস্তারিত জানানো হয়নি।
এর আগে সোমবার ঢাকা সফরে এসেছে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থো এর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
আরো পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ঢাকায় শুরু হয়েছে বৈঠক
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সমঝোতা
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সমঝোতা কতটা সফল হবে
যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইওভার থেকে ছিটকে ট্রেন রাস্তায়
রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের বিষয়ে গত ২৩শে নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
চুক্তিতে তিন সপ্তাহের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি গঠন এবং মিয়ানমার দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া শুরু করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
তবে মিয়ানমার কত দিনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করবে তা বলা হয়নি চুক্তিতে।
এদিকে, তিন সপ্তাহের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করার কথা বলা হলেও এ পর্যন্ত তা করা হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখনো দুই দেশের মধ্যে 'টার্মস অব রেফারেন্স' চূড়ান্ত হয়নি।
অগাস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে মিয়ানমারে সেনা বাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে প্রায় সাত লক্ষ রোহিঙ্গা।