ভারতের ম্যাপ থেকে বিচ্ছিন্ন জম্মু-কাশ্মীর! চাপের মুখে পড়ে ‘ভুল’ শোধরাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ভারতের ম্যাপ থেকে বিচ্ছিন্ন জম্মু-কাশ্মীর! চাপের মুখে পড়ে ‘ভুল’ শোধরাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
সপ্তাহখানেক আগেই ভারতের মানচিত্র বিতর্কে মুখ পোড়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। হু-র তরফে প্রকাশি ওই মানচিত্রে ভারতের মানচিত্র থেকে আলাদা করে দেওয়া হয় কাশ্মীরকে। ওই ম্যাপেই দেখা যায় গোটা ভারতকে গাঢ় নীল রংয়ে সাজিয়ে হু, কিন্তি জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখকে ছাই রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ছবি সামনে আসতেই তুমুল বিতর্ক শুরু হয় আন্তর্জাতিক রাদজনৈতিক মহলে। সরব হয় কেন্দ্রও।
ঠিক কী ভুল ধরা পড়েছিল মানচিত্রে ?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই ছাই রং দিয়েই চিহ্নিত করা হয়েছে আকসাই চিনকেও। তবে সেখানে রয়েছে নীল রংয়ের বর্ডার। নিজেদের কোভিড-১৯ ড্যাশবোর্ড প্রক্রিয়া চালু করার পরেই এই ম্যাপ প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু যার শুরুতেই বিতর্কের মুখে পড়ে হু। এমনকী এই মানচিত্র বিভ্রাটের তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে চিঠিও লিখেন ভারতের রাষ্ট্রদূত ইন্দ্রমণি পান্ডে।
তীব্র প্রতিবাদ ভারতের
এমমকী হু-র বিভিন্ন ওয়েব পোর্টালের মানচিত্রে ভারতের সীমানা সম্পর্কে ভুল চিত্রায়নে গভীর অসন্তুষ্টি প্রকাশ করার পাশাপাশি দ্রুততার সঙ্গে এই ভুল শুধরে নিতে অনুরোধ জানিয়েছে ভারত সরকার। ক্ষোভ প্রকাশ করে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকও। এমতাবস্থায় চাপের মুখে পড়ে অবশেষে নিজেদের অবস্থান থেকে পিছিয়ে এল 'হু'। বর্তমানে মানচিত্রটি নিয়ে ওয়েবসাইটে ডিসক্লেমার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
চাপের মুখে পড়ে সিদ্ধান্ত বদল
এমনকী ওই ডিসক্লেমারে এও জানিয়ে দেওয়া হবে মানচিত্রে উল্লেখিত সীমান্তর সঙ্গে সহমত নয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এদিকে প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার ফের সরব হতে দেখা যায় বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরনকে। হু-র ওয়েবসাইটে দেশের 'ভুল' মানচিত্র প্রকাশ করার বিষয়ে ভারত সর্ব্বোচ্চ স্তরে প্রতিবাদ জানিয়েছে বলেও জানান তিনি। এমনকী কেন্দ্রের তরফে কড়া ভাষায় চিঠিও দেওয়া হয়।
মানচিত্র কাণ্ডে আগেই মুখ পুড়েছে টুইটারের
মূলত কোন দেশের করোনা পরিস্থিতি কীরকম, তা দেখাতেই এই মানচিত্র ব্যবহার করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু তাদের ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ভারতের দুটি মানচিত্রে এই বড়সড় 'ভুল' ধরা পড়ে। মানচিত্রে ভারতকে গাঢ় নীল রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা হলেও জম্মু-কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করে ধূসর রঙ ব্যবহার করা হয়। যা নিয়েই বিতর্ক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই একই ধরণের কাজ করতে দেখা যায় টুইটারকেও। তার মানচিত্রে লাদাখকে চিনা ভূখণ্ডের অংশ হিসাবে দেখিয়ে বিপাকে পড়ে এই বিশ্বখ্যাত মাইক্রো ব্লগিং সংস্থা।
গেরুয়া ঝড় রুখতে পীরজাদা আব্বাসের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন সুজনরা, সোনিয়ার গ্রিন সিগনালের অপেক্ষা