পৃথিবী ধ্বংসের আর বেশিদিন বাকী নেই, গবেষণা করে কারণও জানালেন বিজ্ঞানীরা
মানুষের কারণে পৃথিবীতে বসবাস করা সমস্ত ধরনের প্রাণের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার মুখে। বিখ্যাত বিজ্ঞান পত্রিকা নেচার-এ এমনই ভয়াবহ তথ্য পেশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
পৃথিবী ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলেছে। মানুষের কারণে পৃথিবীতে বসবাস করা সমস্ত ধরনের প্রাণের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার মুখে। বিখ্যাত বিজ্ঞান পত্রিকা নেচার-এ এমনই ভয়াবহ তথ্য পেশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। স্তন্যপায়ী প্রাণী, খেচর, উভচর প্রাণ ধীরে ধীরে অবলুপ্তির দিকে এগিয়ে চলেছে। এর আগে গ্রহাণুর হামলায় ডাইনোসরের বিলুপ্তি হয়েছিল। তেমনই এবার হয়ত অন্য কোনওভাবে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব শেষ হবে। সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
পৃথিবীতে জনবিস্ফোরণ
পৃথিবীতে হুহু করে মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গত ৫০ বছরে ১৩০ শতাংশ হারে বেড়েছে মানুষের সংখ্যা। আগামী ২০৬০ সালের মধ্যেই ১ হাজার কোটিতে পৌঁছে যাবে মানুষের সংখ্যা। তার সঙ্গে প্রতিদিন বেড়ে চলেছে মানুষের চাহিদা। প্রাকৃতিক সম্পদের অত্যধিক ব্যবহার পরিবেশের ভারসাম্যকে নষ্ট করছে। [বাঁচতে হলে ১০০ বছরের মধ্যে পৃথিবী ছাড়তে হবে]
মনুষ্য সৃষ্ট ধ্বংসের পরিবেশ
হাজার হাজার ধরনের প্রজাতি, যার মধ্যে ২৫ শতাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণী, ১৩ শতাংশ খেচর- তারা বিলুপ্তির পথে এগিয়ে চলেছে। চোরাশিকার, দূষণ ও মানুষ কর্তৃক সৃষ্ট অন্য সমস্যা পৃথিবীর অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলেছে। তবে ঠিক কবে এভাবেই চলতে চলতে পৃথিবীর শেষ ঘনিয়ে আসবে তা নিয়ে নিশ্চিত হয়ে দিনক্ষণ বলতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। [আবহাওয়ার বদল, মাত্র চারদিনে শুকিয়ে গেল আস্ত একটা নদী!]
পরিবেশে বদল আনা প্রয়োজন
তবে এর পাশাপাশি গবেষকরা আশার বাণীও শুনিয়েছেন। বলেছেন, মানুষ চাইলে এই অবস্থার বদল ঘটাতে পারে। নিজের পরিবেশে বদল এনে, নিজের খাদ্যাভ্যাসে বদল এনে, নানা ধরনের সংরক্ষণের মাধ্যমে পৃথিবীর ধ্বংস হওয়া রোধ করা সম্ভব।
মানুষের মাতব্বরীতেই ঘনিয়েছে বিপদ
নেচার পত্রিকায় আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল বলেছে, ভূ ত্বক ও সাগর, মহাসাগরে উপরে মানুষের মাত্রাতিরিক্ত দখলদারি হিতে-বিপরীত অবস্থা তৈরি করছে। এর ফলে পৃথিবীর জীববৈচিত্রের হার মাত্রাতিরিক্ত হারে কমে গিয়েছে। আর তার ফলেই পৃথিবীর বিপদ আসন্ন।
জীববৈচিত্রকে রক্ষা
বিজ্ঞানীদের দাওয়াই, এই অবস্থা থেকে বাঁচতে গেলে, জীববৈচিত্রকে বাঁচাতে গেলে নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সতর্কতা দেখাতে হবে। যার ফলে বর্তমান জনসংখ্যার বৃদ্ধির হারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানো যায়।
সঠিক নীতি প্রণয়ন
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ১৫শ শতকের সময় থেকেই মূলত পৃথিবীর অস্তিত্ব ধীরে ধীরে বিপন্ন হয়ে শুরু করে। এখন সেই অবস্থা আরও গতিশীল হয়েছে। তবে বিভিন্ন দেশের নীতি নির্ধারকরা সঠিক নীতি প্রণয়ন করলে পৃথিবীর ধ্বংস রোধ করা সম্ভব। ২০৬০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা ১ হাজার কোটি ছাড়িয়ে গেলেও সকলের পেট ভরানোর মতো খাবার পৃথিবীতে উৎপাদন করা সম্ভব হবে। তবে প্রয়োজন সঠিক পথে এগোনোর। তাহলেই লক্ষ্য পূরণ সম্ভব, দাবি বিজ্ঞানীদের।