নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলি
গৃহযুদ্ধে দগ্ধ ইথিওপিয়ায় শান্তির হাওয়া এনেছেন তিনি। ক্ষমতায় আসার তিন মাসের মধ্যে যে শান্তি স্থাপনের উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন তাকেই কুর্নিশ জানােতই নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য এবার বেছে নেওয়া হয়েছে ইথিওপিয়
গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত আফ্রিকার ইথিওপিয়ায় শান্তির হাওয়া এনেছেন তিনি। ক্ষমতায় আসার তিন মাসের মধ্যে যে শান্তি স্থাপনের উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন তাকেই কুর্নিশ জানােতই নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য এবার বেছে নেওয়া হয়েছে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলিকে। অসলো থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে নোবেল কমিটি পক্ষ থেকে এই পুরস্কার প্রাপকের নাম ঘোষণা করা হয়।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন আবি আহমেদ আলি। তখনও জ্বলছে ইথিওরিয়া। প্রতিবেশী দেশ ইরিট্রিয়ার সঙ্গে গৃহযুদ্ধে জ্বলছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাসের মধ্যেই শান্তি স্থাপনের বড় উদ্যোগ নেন আহমেদ আলি।
ইরিট্রিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দেখা করার উদ্যোগ নেন। শুরু হয় শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া। যে সীমান্তবর্তী বাদমে অঞ্চল নিয়ে সংঘর্ষ সেই অঞ্চলটিই ইরিট্রিয়ার হাতে তুলে দেন আহমেদ আলি। তাতেই অর্ধেক সমস্যা মিটে যায়। এখনও পুরোপুরি শান্তি না ফিরলেও অনেকটাই ঠান্ডা গৃহযুদ্ধ। রণে ভন দিয়েছেন বিদ্রোহীরাও। দুই দেশের মানুষের স্বার্থেই বাণিজ্য এবং পরিবহনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সীমান্ত।
তবে শুধু ইরিট্রিয়া নয়, একাধিক প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমস্যা মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। এতে অনেকটাই সুরাহা হয়েছে ইথিওপিয়ার আর্থিক পরিস্থিতির। গত ২ দশকের হিংসায় প্রায় ৭০ হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে ইথিওপিয়া এবং ইরিট্রিয়ার। দুই দেশের অর্থনীতিই একেবারে ভেঙে পড়েছিল। আহমেদ আলির উদ্যোগে আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ইথিওপিয়া। মানবতার রক্ষায় ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্টের এই উদ্যোগকেই কুর্নিশ জানাতেই নোবেল কমিিটর এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।