ঢাকায় সৌদি কূটনীতিক হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
২০১২ সালের মার্চ মাসে ঢাকার গুলশানে সৌদি কূটনীতিক খালাফ আল আলীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।হাইকোর্ট ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে একজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে, তিনজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে
ঢাকাস্থ সৌদি আরব দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যার ঘটনায় এক আসামীর মৃত্যুদণ্ড, তিনজনের যাবজ্জীবন এবং একজনকে খালাস দিয়েছে আপীল বিভাগ।
এর রায়ের মাধ্যমে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে।
বুধবার দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপীল বিভাগের একটি বেঞ্চ এ রায় দেয়।
২০১২ সালের মার্চ মাসে ঢাকার গুলশানে সৌদি কূটনীতিক খালাফ আল আলীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এর একমাস পরে তদন্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে সৌদি আরবের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল ঢাকায় এসেছিল।
২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল সে মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
এরপর হাইকোর্ট ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে একজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে, তিনজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দেয়।
খালাফ আল আলী উদ্দেশ্যমূলক ডাকাতির ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন বলে হাইকোর্টের রায়ে উল্লেখ করা হয়।
খালাফ আল আলী ছিলেন ঢাকাস্থ সৌদি আরব দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব।
সৌদি আরবের সাথে কূটনীতিক সম্পর্ককে বাংলাদেশের তরফ থেকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।
খালাফ আল আলী হত্যাকাণ্ডের পর বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার একধরনের চাপে পড়েছিল বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরা-খবর প্রকাশিত হয়।
সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যেও একধরনের উদ্বেগ কাজ করছিল। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি আরব গিয়ে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে কথা বলেন।