শয্যাশায়ী! মারণ রোগের সঙ্গে জীবনযুদ্ধ চলছে দাউদ ইব্রাহিমের!
নয়াদিল্লি, ২৬ এপ্রিল : ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী তথা ১৯৯৩ মুম্বই বিস্ফোরণের প্রধান চক্রী দাউদ ইব্রাহিম সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, দাউদ মারণ রোগের সঙ্গে প্রাণপণ লড়াই চালাচ্ছে। [হাঁটতে গেলে দুজন লোক লাগে, পাঁচ বছর আগেই অবসর নিয়েছেন দাউদ!]
এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ৬০ বছর বয়সী দাউদের পায়ে গ্যাংগ্রিন হয়েছে। এর জন্য একেবারে শয্যাশায়ী দাউদ বেঁচে থাকার জন্য মারণপণ লড়াই চালাচ্ছে। [ডন ছোট রাজনের অপরাধ দুনিয়ায় পথ চলার ইতিহাস!]
জানা গিয়েছে, যে চিকিৎসকেরা দাউদকে দেখছেন, তাঁরা জানিয়েছেন, গ্যাংগ্রিন এমন বেশি পর্যায়ে চলে গিয়েছে যে হয়ত পা কেটে বাদ দিতে হতে পারে। এমনই জানা গিয়েছে, পায়ের বেশিরভাগ অংশই অসাড় হয়ে গিয়েছে। [উচ্চ শিক্ষিত ইয়াকুব মেমনের অপরাধী হয়ে ওঠার কাহিনি]
মূলত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসের কারণে এই গ্যাংগ্রিন রোগ হয়। এই রোগের শিকার হয়েই একদা ভারতের ত্রাস দাউদ পাকিস্তানের বাড়িতে শয্যাশায়ী হয়ে রয়েছে। [জেনে নিন ২৬/১১ মুম্বই হামলায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ হয়েছিল কোথায়]
করাচির সেনা হাসপাতাল ও লিকায়ত ন্যাশনাল হাসপাতালে এই মুহূর্তে দাউদের চিকিৎসা চলছে। তার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস আইএসআই। সূত্রের খবর, প্রয়োজনে বিদেশে নিয়ে গিয়ে দাউদের চিকিৎসা হতে পারে।
১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মূল কান্ডারী ছিল দাউদ ইব্রাহিম, টাইগার মেমন ও ইয়াকুব মেমন। এর মধ্যে ইয়াকুব মেমনকে গতবছরে ফাঁসি দিয়েছে আদালত। তবে দাউদ ও টাইগার এখনও ভারতের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।