ডোকলামের পর এবার অরুণাচল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা চিনের
ডোকলাম নিয়ে গতবছরে বিতর্ক বাঁধানোর পর নতুন বছর পড়তে না পড়তেই ফের সীমান্তে গোলমাল বাঁধানোর চেষ্টা শুরু করে দিল চিন।
ডোকলাম নিয়ে গতবছরে বিতর্ক বাঁধানোর পর নতুন বছর পড়তে না পড়তেই ফের সীমান্তে গোলমাল বাঁধানোর চেষ্টা শুরু করে দিল চিন। সিকিম-ভূটান সীমান্তের পর চিনের নতুন টার্গেট অরুণাচলপ্রদেশ সীমান্ত। এখানের সীমান্ত দিয়ে চিন অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে তা যৌথভাবে আটকে দিয়েছে ভারতীয় সেনা ও ইন্দো-তিবেটান বর্ডার ফোর্সের পুলিশ।
চিনা শ্রমিকরা প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। সম্ভবত উদ্দেশ্য ছিল ডোকলামের মতোই এখানেও রাস্তা তৈরি। তবে ভারতীয় সেনা রাস্তা তৈরির সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে। ডোকলামে যেমন হাতাহাতি শুরু হয়ে গিয়েছিল, সেরকম ঘটনা এখানে ঘটেনি বলে খবর।
গতবছরের শেষে ২৬ ডিসেম্বর চিনা অসামরিক ট্রাক সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে। অরুণাচলের কাপাং লা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এর খুব কাছ দিয়েই সিয়াং নদী তিব্বত থেকে অরুণাচলে প্রবেশ করেছে। তবে চিনা সেনা নদী পেরিয়ে ঢোকেনি।
স্থানীয় বাসিন্দারাই এই ঘটনা প্রথমে প্রত্যক্ষ করেন। খবর দেওয়া হয় ইন্দো তিবেটান বর্ডার পুলিশকে। ২৮ ডিসেম্বর সেনা ও আইটিবিপি যৌথ পেট্রোলিংয়ে নামে। চিনা সেনাদের নিজেদের সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরতে বলা হয় ও সমস্ত সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়। গোটা এলাকা ব্যারিকেড করে সেনা প্রহরা দিচ্ছে।
সূত্রের খবর, চিন ১২ ফুট চওড়া ও ১ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা তৈরি করতে চেয়েছিল। যা করতে গিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ৪০০ মিটার ভিতরে ভারতে ঢুকে পড়ে। সীমান্তে বারবার চিনের অনুপ্রবেশ শুরু হওয়ায় কড়া সতর্কতা রয়েছে ভারতের তরফেও।
এর আগে উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে যে, পূর্ব সিকিমে ডোকলামের বিতর্কিত এলাকায় বেশ কয়েকটি রাস্তা ইতিমধ্যে বানিয়ে ফেলেছে চিন। যে জায়গায় গতবছরের জুন মাস থেকে শুরু করে অগাস্ট পর্যন্ত ভারত-চিন সেনা অবস্থান করেছিল, সেই এলাকা থেকে এটি বেশি দূরে নয়। সীমান্ত থেকে তার দূরত্ব ৪.৫ কিলোমিটার। যেখানে ইতিমধ্যে ১ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা চিন বানিয়ে ফেলেছে।
পাশাপাশি সীমান্তে ভারতীয় পোস্ট থেকে ৭.৩ কিলোমিটার দূরত্বে আর একটি ১.২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তা বানিয়ে ফেলেছে চিন। এছাড়া ডোকা লা পাস বাদে সিঞ্চে লা পাসের কাছে ১০ কিলোমিটারের মধ্যেও চিনা সেনা রাস্তা বানিয়ে ফেলেছে। উপগ্রহ চিত্রের গত ১৩ মাসের তথ্যে দেখা গিয়েছে, গতবছরের ১৯ অগাস্টের পর রাস্তা বানানো হয়েছে। যার মধ্যে দুটি জায়গা একেবারে সদ্য বানিয়েছে চিন। যার অর্থ ডোকলাম নিয়ে বিবাদ মিটে যাওয়ার পরে গোপনে চিন ওই এলাকায় রাস্তা বানিয়েছে। অক্টোবর ১৭ থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে চিন রাস্তা বানিয়েছে বলে উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে।