China Sparrow 1958: একটা সময় চড়ুই পাখির সঙ্গে 'যুদ্ধে' নেমেছিল কমিউনিস্ট চিন! কেন জানেন?
করোনা হোক কিংবা সীমান্ত বিরোধ! বিশ্বের একাধিক সমস্যার পিছনে কার্যত লাল চিনের নাম উঠে আসে (China) । সে দেশের নানা ধরণের কার্যকলাপ বারবার প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়। তেমনই একটি কাজ যা আজ থেকে 64 বছর আগে করেছিল। যার ফলাফল এখনও
China Sparrow War: করোনা হোক কিংবা সীমান্ত বিরোধ! বিশ্বের একাধিক সমস্যার পিছনে কার্যত লাল চিনের নাম উঠে আসে (China) । সে দেশের নানা ধরণের কার্যকলাপ বারবার প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়। তেমনই একটি কাজ যা আজ থেকে 64 বছর আগে করেছিল। যার ফলাফল এখনও দিতে হচ্ছে বেজিংকে।
চিনি বিপ্লবের জনক হিসাবে মানা হয় Mao Zedong-কে। যিনি দেশে থাকা সমস্ত চড়ুই পাখি (Sparrow)-কে মারার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ভাবছেন তো কেন?
ফল এখনও ভোগ করতে হচ্ছে
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, Mao Zedong ভাবতেন আনাজের এক -একটা দানা শুধুমাত্র মানুষের জন্যে থাকা দরকার। কিন্তু সবকিছুর একটা সিস্টেম আছে। আর তা না মেনেই সমস্ত চড়ুই পাখি (Sparrow)-কে মারার নির্দেশ দেন তিনি। যার ফল এখনও ভোগ করতে হচ্ছে কমিউনিস্ট এই দেশটিকে। শুধু তাই নয়, ব্যাপক ভাবে এই পাখির মারার জন্যে চিনে একটা সময় একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বলে রাখা প্রয়োজন, চিনে মাও সে তুংয়ের নির্দেশে একটি ক্যাম্পেন শুরু হয়েছিল। আর তা হয়েছিল ১৯৫৮ সালে। যার নাম দেওয়া হয়েছিল Four Pests Campaign। এই অভিযানের মাধ্যমে মশা-মাছি তো বটেই, শুরু হয় ইঁদুর ও চড়ুই নিধনও। মশা থেকে ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য থেকে একাধিক রোগের জন্ম হয়। সেই কারনেই এই ক্যম্পেন শুরু হয়।
তালিকাতে ছিল চড়ুই পাখিও
আর সেই তালিকাতে ছিল চড়ুই পাখিও। অনেকেই এই পাখিকে মানুষের খুব কাছাকাছি থাকা একটা পাখি হিসাবেই মনে করে। কিন্ত্য শুধু আনাজ খেয়ে নেওয়ার অপরাধে চড়ুই পাখি নিধনেরও নির্দেশ দেন তিনি। ফলে সেগুলিকে মারা হয়।
যা বড় ভুল ছিল
মাও সে তুং মনে করতেন, চড়ুই পাখির কৃষকদের কষ্টের ফসল খেয়ে নিচ্ছে। আর তাঁদের বিপদের মুখে ফেলে দিচ্ছে। আর সেই কারণে এই পাখিগুলিকে উচিৎ মেরে দেওয়া। কিন্ত্য তিনি ভেবে দেখেননি এই পাখিগুলিকে মারলে বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি হবে। এমনকি খাদ্যশৃঙ্খলা পর্যন্ত নষ্ট যে হয়ে যেতে পারে তা ভাবেননি। এরফ অলে একটা সময়ে চিনে ব্যাপক আকাল দেখা দেয়। এবং তাতে বহু চিনের মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছিল।
ভয়ঙ্কর আকাল তৈরি হয়
চড়ুই শুধু ফসলের ক্ষতি করে এমন নয়, জমিতে লুকিয়ে থাকা কিটগুলিকেও খেয়ে নেয়। এই কিট নানা ভাবে ফসলের ক্ষতি করে। তবে এই ঘটনায় চিনের অবস্থা ক্রমশ বদলাতে শুরু করে। 1960 সাল নাগাদ ধানের ফলন কমে যায়। চিনে চালের ব্যবহার বেশি। কিন্ত্য তা মেলায় দেশে দুর্ভিক্ষ তৈরি হয়। বাড়তে থাকে মৃত্যু। এই অবস্থায় নিজের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠতে বাধ্য হন মাও সে তুং। রাতারাতি তুলে নেন Four Pests Campaign । কিন্ত্য দেশে চড়াই পাখির সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে ব্যাপক ভাবে কিট পতঙ্গের সংখ্যা বেড়ে যায়।
শুভেন্দুর বিরুদ্ধেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ! বিধায়ক শিউলি সাহার মন্তব্যকে হাতিয়ার করে মামলা হাইকোর্টে