করোনা প্রকোপের মাঝেই ভারত-চিন দ্বন্দ্ব! এফডিআই নীতি পরিবর্তন নিয়ে কী বার্তা বেজিংয়ের?
শনিবারই ভারত জানিয়ে দেয় যে এফডিআই নীতিতে পরিবর্তন আনছে কেন্দ্র। এর জেরে বড় ধাক্কা খেয়েছিল চিন। এবার ভআরতের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুলল বেজিং। এদিন চিনের পক্ষ থেকে ভারতের এই নীতিকে বৈষম্যমূলক ও ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের নীতির পরিপন্থি বলে আখ্যা দেওয়া হয়।
বিশ্ব অর্থনীতিতে এখন উথালপাতাল
করোনা প্রকোপে বিশ্ব অর্থনীতিতে এখন উথালপাতাল। এই আবহেই শনিবার এফডিআই নীতিতে বদল আনে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রক। পড়শি দেশের জন্য এফডিআই নতুন নীতি এনে কেন্দ্র জানিয়ে দেয়, পড়শি দেশের কোনও সংস্থা ভারতে বিনিয়োগ করতে চাইলে আগে সরকারকে অবগত করতে হবে।
এফডিআই-এর আগের কী নীতি ছিল?
এর আগে স্বয়ংক্রিয় পথে সরাসরি বিনিয়োগ করতে পারত বিদেশের সংস্থাগুলি। তবে নতুন এই নীতির ফলে বিদেশিদের এদেশে বিনিয়োগ করতে গেলে আগে সরকারকে জানিয়ে তার অনুমতি নিতে হবে। ভারত লাগোয়া দেশগুলির জন্য এই সংশোধিত এফডিআই নীতি।
চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের শেয়ার কেনে
কয়েকদিন আগেই চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ১.১ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়। এরপরই আলোচনা শুরু হয়। এরপরই নড়চড়ে বসেছিল কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, এই সংক্রমণ আবহের সুযোগে বিদেশী সংস্থাগুলো যাতে দেশীয় সংস্থাকে অধিগ্রহণ করতে না পারে, তাই এই সংশোধন।
চিনকে আটকাতেই ভারতের এই নতুন নীতি
বিশেষজ্ঞদের মতে, নাম না করে ভারতের চিনকে আটকাতেই এই নতুন নীতি আনল ভারত। এর আগে ভারতের পরশিদের মধ্যে শুধু বাংলাদেশ ও পাকিস্তানি সংস্থাগুলোকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি নিতে হতো। কিন্তু সংশোধিত ধারায় চিনকেও সেই তালিকাভুক্ত করা হল। করোনা সংক্রমণের দরুন ধুঁকতে থাকা দেশীয় সংস্থাগুলোর সুবিধাবাদী অধিগ্রহণে রাশ টানতে এই সিদ্ধান্ত বলে কেন্দ্রের একটি সূত্র।