বাংলাদেশের ভারত-প্রস্তাবে এই সংগঠনে অস্বস্তিতে পড়ল পাকিস্তান
পাকিস্তানকে অস্বস্তিতে ফেলল বাংলাদেশ। ভারতকে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন বা ওআইসি-র পর্যবেক্ষক করার আহ্বান জানালো দেশটি।
পাকিস্তানকে অস্বস্তিতে ফেলল বাংলাদেশ। ভারতকে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন বা ওআইসি-র পর্যবেক্ষক করার আহ্বান জানালো তারা। ভারতের মতো যেসব দেশ মুসলিম সংখ্যা গরীষ্ঠ নয়, কিন্তু বিপুল সংখ্যক মুসলিম থাকেন, তাদের এই সংগঠনের পর্যবেক্ষক হিসেবে গ্রহন করার দাবি তুলল বাংলাদেশ। ওআইসি মুসলিম দেশগুলির আন্তর্জাতিক সংগঠন। এখানে অমুসলিম দেশের সদস্য পদ নেই।
[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান! যা বললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী]
শনিবার থেকে ঢাকায় ওআইসি-র সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক বসেছে। সেখানেই বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ওআইসির গঠনতন্ত্রে সংস্কারের দাবি করেন, যাতে ভারতের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ নয় অথচ বিশাল সংখ্যক মুসলিম জনসংখ্যার দেশগুলিকে সংগঠনের আওতায় আনা যায়।
বলা বাহুল্য এতে পাকিস্তানের অস্বস্তি বাড়বে। এর আগে বহু ক্ষেত্রে ভারত-বিরোধিতায় ওআইসি-কে কাজে লাগাতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানকে। তবে তাদের একমাত্র আশা, যে নতুন দেশগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাতে রয়েছে চিনের নামও।
বৈঠকে বাংলাদেশী বিদেশ মন্ত্রী যুক্তি দেন, ভারত মুসলিম সংখ্যা গরীষ্ঠ দেশ নয়। কিন্তু ভারতে বিশাল সংখ্যক মুসলিমের বাস। মুসলিম জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বে ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পরেই ভারতের স্থান। সারা বিশ্বের মুসলিম জনসংখ্যার ১০ শতাংশ এই দেশের বাসিন্দা। যা সংগঠনের বেশিরভাগ দেশেরই নেই। পরিসংখ্যান দেওয়া হয়, অন্যতম সদস্যদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মিশরের মুসলিম জনসংখ্যা ৯ কোটি ২০ লক্ষ। যা সারা বিশ্বের মুসলিম জনসংখ্যার মাত্র ৫ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: তিনি অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ! আইনজীবীদের আর কী বললেন খালেদা জিয়া]
মাহমুদ আলী বলেন, শুধুমাত্র মুসলিম সংখ্যা গরীষ্ঠ নয় এই যুক্তিতে এই বিপুল সংখ্যক মুসলিম জনগনকে উপেক্ষা করা ঠিক নয়। তিনি বলেন, 'ওআইসির বাইরে থাকা ওই দেশগুলির সঙ্গে একটা সেতু তৈরি করতে হবে। দেখতে হবে ওআইসি-এর ভাল কাজের সুবিধা থেকে যাতে ওই সংখ্যালঘু মুসলিম জনতা বঞ্চিত না হয়। এজন্য ওআইসি'র ঘটনতন্ত্রের সংস্কার ও পুনর্গঠন প্রয়োজন'। সংগঠনকে আরও সমসাময়িক করার কথাও বলেন তিনি।
জানা গিয়েছে বাংলাদেশ-এর এই প্রস্তাব সমর্থন করেছেন পরামর্শ ওআইসি জেনারেল সেক্রেটারি। তবে ভারতকে ওআইসির অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্থাব এই প্রথম নয়, এর আগেও উঠেছে। কিন্তু প্রতিবারই পাকিস্তান ভেটো প্রয়োগ করে তা আটকেছে। তবে গত এক দশকে ইসলামিক দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি ঘটেছে। তাই এবার ভারতকে আটকানো পাকিস্তানের পক্ষে সহজ হবে না, বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।