রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান! যা বললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
বিপন্ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর জন্য ওআইসি গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির কাছে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিপন্ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর জন্য ওআইসি গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির কাছে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে ওআইসিকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।
হজরত
মুহাম্মদ
(সা.)-এর
বিপন্ন
মানবতার
পাশে
দাঁড়ানোর
অমোঘ
বাণীর
উল্লেখ
করে
প্রধানমন্ত্রী
বলেছেন,
প্রিয়
নবী
হজরত
মুহাম্মদ
(সা.)
নিপীড়িত
মানবতার
পাশে
দাঁড়ানোর
জন্য
নির্দেশ
দিয়ে
গিয়েছেন।
কাজেই
মায়ানমারের
রোহিঙ্গা
জনগোষ্ঠী
যখন
জাতিগত
নির্মূলের
মুখোমুখি,
ওআইসি
তখন
নিশ্চুপ
থাকতে
পারে
না।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ
হাসিনা
ওআইসির
৪৫তম
বিদেশমন্ত্রী
পর্যায়ের
সভার
উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে
প্রধান
অতিথির
ভাষণে
এ
কথা
বলেন।
রাজধানীতর
বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক
সম্মেলন
কেন্দ্রে
দুই
দিনব্যাপী
এ
সম্মেলন
চলছে।
শেখ হাসিনা বলেছেন, ওআইসিকে অবশ্যই মায়ানমার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে মায়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যেকার স্বাক্ষরিত সমঝোতা অনুযায়ী তাদের অধিবাসী রোহিঙ্গাদের দেশে নিরাপদে ফেরত নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীও সবার মতো মর্যাদার সঙ্গে বাঁচার এবং জীবন-জীবিকার অধিকার রাখে।
অনুষ্ঠানে আইভরিকোস্টের বিদেশমন্ত্রী এবং ৪৪তম সিএফএমের সভাপতি মার্সেল আমন-তানোহ বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলির কাছে ৪৫তম সিএফএমের সভাপতিত্ব হস্তান্তর করেন।
শেখ
হাসিনা
বলেন,
নিপীড়িত
মানবতার
জন্য
তারা
তাদের
চিত্ত
ও
সীমান্ত
দুই-ই
উন্মুক্ত
করে
দিয়েছেন।
মায়ানমারের
প্রায়
১১
লাখ
রোহিঙ্গা
জনগোষ্ঠীকে
সম্পূর্ণ
মানবিক
কারণে
তারা
আশ্রয়
দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী
ব্যক্তিগতভাবে
তাঁদের
(বাস্তুচ্যুত
হয়ে
আশ্রয়
গ্রহণকারী
রোহিঙ্গা)
জন্য
দুঃখ
প্রকাশ
করে
বলেন,
তিনি
ব্যক্তিগতভাবে
তাঁদের
ব্যথায়
ব্যথিত।
কারণ,
তার
পিতা
জাতির
পিতা
বঙ্গবন্ধু
শেখ
মুজিবুর
রহমানসহ
পরিবারের
১৮
জন
সদস্য
নির্মমভাবে
নিহত
হওয়ার
পর
তিনি
ব্যক্তিগতভাবে
ছয়
বছর
দেশে
ফিরতে
পারেননি।
উদ্বাস্তু
হিসেবে
বিদেশের
মাটিতে
কাটিয়েছেন।
শেখ
হাসিনা
বলেন,
এখনকার
মতো
মুসলিম
বিশ্ব
আগে
কখনো
এত
বেশি
পরিমাণ
সংঘাত,
অভ্যন্তরীণ
গোলযোগ,
বিভাজন
ও
অস্থিরতার
মুখোমুখি
হয়নি।
লক্ষ
করা
যায়নি
এত
ব্যাপক
হারে
বাস্তুহারা
জনগোষ্ঠীর
দেশান্তর।
প্রধানমন্ত্রী
বলেন,
এখন
সময়
এসেছে
আমাদের
চিন্তা-চেতনা
ও
দৃষ্টিভঙ্গিতে
পরিবর্তন
আনার।
সময়
এসেছে
টেকসই
শান্তি,
সংহতি
ও
সমৃদ্ধির
আলোকে
ভবিষৎকে
নতুন
আঙ্গিকে
ঢেলে
সাজানোর।
বাংলাদেশের
বিদেশনীতির
প্রসঙ্গে
শেখ
হাসিনা
বলেন,
বাংলাদেশের
স্থপতি,
জাতির
পিতা
বঙ্গবন্ধু
শেখ
মুজিবুর
রহমান
সকলের
সঙ্গে
বন্ধুত্ব,
কারও
সঙ্গে
বৈরিতা
নয়-এ
নীতিতে
বিশ্বাস
করতেন।
তারা
মনে
করেন
আজ
ইসলামি
বিশ্বে
যেসব
মতপার্থক্য
ও
ভিন্ন
দৃষ্টিভঙ্গি
পরিলক্ষিত
হচ্ছে,
তা
খোলামন
নিয়ে
আলাপ-আলোচনার
মাধ্যমে
দূর
করা
সম্ভব।
শেখ
হাসিনা
বলেন,
রক্তপাত
শুধু
অপ্রয়োজনীয়ই
নয়
বরং
তা
আরও
খারাপ
পরিস্থিতির
জন্ম
দেয়।
ওআইসির
মহাসচিব
ইউসুফ
এ
ওসাইমিন
অনুষ্ঠানে
প্রধানমন্ত্রীকে
পবিত্র
কাবা
শরিফের
গিলাফ
উপহার
দেন।