বাংলাদেশিদের ইউক্রেন থেকে সরিয়ে আনতে সহযোগিতা, মোদীকে ধন্যবাদ জানালেন হাসিনা
বাংলাদেশিদের ইউক্রেন থেকে সরিয়ে আনতে সহযোগিতা, মোদীকে ধন্যবাদ জানালেন হাসিনা
যুদ্ধের আগুনে পুড়ছে ইউক্রেন। যখন তখন ধেয়ে আসছে বিধ্বংসী সব রুশ মিসাইল। সেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে শুধু ভারতীয়দের নয় বাংলাদেশিদের সরিয়ে আনতেও উদ্যোগী হয়েছিল মোদী সরকার। ইউক্রেনের সুমিতে আটকে থাকা ভারতীয়দের সরিয়ে আনার পাশাপাশি বাংলাদেশিদের উদ্ধারেও সহযোগিতা করেছিল মোদী সরকার। সেকারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দিেলন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে ২০ হাজার ভারতীয় আটকে পড়েছিলেন। অপারেশ গঙ্গার মাধ্যমে ধাপে ধাপে সেখান থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করা হয়। তার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছে মোদী সরকার। রাশিয়া-ইউক্রেনের সঙ্গে কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনা করে ভারতীয়দের জন্য সেফ করিডরের বন্দোবস্ত করা থেকে শুরু করে নিরাপদে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হাজির হয়েছিলেন। মূলত পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া হয়ে ভারতীয়দের বের করে আনা হয়েছে ইউক্রেন থেকে। এই উদ্ধার প্রক্রিয়া চলাকালীন খারকিভে এক ভারতীয় মেডিকেল পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হানায় মারা যায় সেই ভারতীয় পড়ুয়া। আরেক ভারতীয় পড়ুয়া গুলিবিদ্ধ হয়েছিল সেখানে। এর বাইরে তেমন কোনও বড় অঘটন ঘটেনি।
এরই মাঝে ভারতীয় পতাকার সাহায্যে অনেক পাকিস্তানি পড়ুয়া বেঁচে ফিরতে পেরেছিলেন। তার ছবি আমরা সকলেই দেখেছি। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না শেষ বেলায় ইউক্রেনের সুমিতে আটকে পড়েছিলেন বেশ কিছু ভারতীয় পড়ুয়া। তাঁদের সঙ্গে বাংলাদেশি পড়ুয়াও ছিল। তাঁদের সকলকে উদ্ধার করা হয়েছিল মোদী সরকারের উদ্যোগে। প্রতিবেশী দেশের পড়ুয়াদের উদ্ধার করতে সহযোগিতা করেছিল ভারত। সেই উপকারের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধন্যবাদ জানিয়েেছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। চিঠিতে শেখ হাসিনা লিখেছেন, যেভাবে ভারত সরকার বাংলাদেশিদের ইউক্রেন থেকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে মনে করছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০২১-র পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের আগে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি মতুয়াদের আশ্রম পরিদর্শন করেছিলেন। সেসময় মোদীর এই বাংলাদেশ সফরকে রাজনৈতিত উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে কটাক্ষ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। শেখ মুজিবের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ফের বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তাতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। শেখ হাসিনারও আসার কথা রয়েছে। করোনা সংক্রমণের সময়ও নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশকে করোনা টিকা এবং চিকিৎসার উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করেছিল।