ঢাকায় যাওয়ার আগে কলকাতায় আশ্রয় ২২ বছর, চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি বঙ্গবন্ধুর খুনির
ঢাকায় যাওয়ার আগে কলকাতায় আশ্রয় ২২ বছর, চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি বঙ্গবন্ধুর খুনির
ঢাকায় যাওয়ার আগে তিনি কলকাতায় ছিলেন প্রায় ২২ বছর। এমনই চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত খুনি আব্দুল মাজেদ। সোমবার রাতে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পলাতক আসামি আব্দুল মাজেদকে। মঙ্গলবার তাঁকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এএম জুলফিকার হায়াত।
সোমবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ঢাকার মীরপুরের সাড়ে এগারো নম্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় আব্দুল মাজেদকে। তাঁকে বাসস্ট্যান্ডের সামনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল বলে দাবি স্থানীয় প্রশাসনের। জিজ্ঞাসাবাদের নিজের নাম জানান তিনি।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভেঙে পড়ে আব্দুল মাজেদ জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে তিনি গত মাসেই ফিরেছিলেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি কলকাতা ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় থেকেছেন বলে জানা গিয়েছে। নির্দিষ্টভাবে কোনও জায়গায় তিনি বেশি দিন থাকেননি। বাংলাদেশ পুলিশ কলকাতা পুলিশের থেকে মাজেদের আশ্রয়স্থল জানার চেষ্টা করছে বলে জানা গিয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে খবর ভারতীয় নাগরিকের প্রমাণ পত্র যোগার করেছিলেন তিনি। ছিল ভারতীয় পাসপোর্টও।
১৯৯৭-তে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বাবার খুনিদের বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। সেই সময় থেকে মাজেদের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
ঢাকায় সরকারি বাসভবনে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে মুজিবর রহমানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সবাই সেনাকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। আব্দুল মাজেদ ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার ছিলেন। এছাড়াও বাকি পাঁচ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি হলেন, খন্দকার আব্দুর রশিদ, এএম রাশেদ চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এমবি নূর চৌধুরী, এবং মোসলেম উদ্দিন। এদের সবাইকেই বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার সরকার।