মিশরে মিলল বিশাল প্রত্নতত্ব ভাণ্ডার, খুলে যাবে রহস্যের নতুন দিক
Array
মিশরের অন্যতম সেরা প্রত্নাতাত্বিক উদাহরণ পিরামিড। এগুলির মধ্যে রাখা হত হাজার হাজার বছর আগের মিশরে রাজত্ব করা ফ্যরাও বা রাজাদের মৃতদেহ। সঙ্গে রাখা হত তাঁর পরিবারের মৃতদেহ। তাঁদের সবার দেহ সংরক্ষণ করা হত এক অদ্ভুত পদ্ধতিতে। বিশেষ ওষুধ ব্যাবহারের মাধ্যমে রাজা ও তাঁর পরিবারের মৃতদের দেহ সংরক্ষণ করা হত। এগুলিকে বলা হত মমি। এই বিশালাকার পিরামিড বিশ্বের সাত আশ্চর্যের অন্যতম। আজও বহু রহস্য লুকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন পিরামিড এবং তার অন্দরে থাকা মমিদের নিয়ে। হয়ে গিয়েছে একের পর এক সুপারহিট হলিউড ছবি। সেই মমি রাখা হত কফিনে। এমনই এক প্রত্নতত্বের ভাণ্ডার খুঁজে পেয়েছেন প্রত্নতত্ববিদরা। মিলেছে ২৫০টি কফিনের সন্ধান সঙ্গে প্রচুর ব্রোঞ্জের মূর্তি।
বিশ্বের সামনে বিশাল মিশরীয় প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন
প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রাচীন মিশরীয় নিদর্শনের একটি ভান্ডার খুঁজে পেয়েছেন, যা প্রথমবারের মতো বিশ্বের কাছে প্রকাশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে এই নিদর্শনগুলি কমপক্ষে ২৫০০ বছর পুরনো। কায়রোর কাছে সাক্কারার বিখ্যাত নেক্রোপলিসে আবিষ্কার করা হয়েছে এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
কী রয়েছে সেখানে
নিদর্শনগুলির
মধ্যে
রয়েছে
আনুবিস,
আমুন,
মিন,
ওসিরিস,
আইসিস,
নেফারটাম,
বাস্টেট
এবং
হাথোর
দেবতাদের
মূর্তি
সহ
স্থপতি
ইমহোটেপের
একটি
মাথাবিহীন
মূর্তি,
যিনি
সাক্কারা
পিরামিড
তৈরি
করেছিলেন।
মিশরের
পর্যটন
ও
পুরাকীর্তি
মন্ত্রক
জানিয়েছে
যে
২৫০টি
কফিন,
১৫০টি
ব্রোঞ্জের
মূর্তি
এবং
অন্যান্য
নানা
বস্তু
যা
৫০০
খ্রিস্টপূর্বাব্দের
শেষ
সময়কালের
বলা
জানা
গিয়েছে।
একটি
কফিনে
একটি
সুসংরক্ষিত
প্যাপিরাস
রয়েছে
যা
হায়ারোগ্লিফ
লিপিতে
লেখা।
এটি
পড়ার
জন্য
কায়রোর
মিশরীয়
জাদুঘরের
পরীক্ষাগারে
পাঠানো
হয়েছিল।
মোস্তফা
ওয়াজিরি,
প্রত্নতত্ত্বের
সুপ্রিম
কাউন্সিলের
সেক্রেটারি-জেনারেল
এমনটাই
বলেছেন।
বেশ
কিছু
পাত্র,
ব্রেসলেট
এবং
কানের
দুল
সহ
বিভিন্ন
প্রসাধনীর
একটি
সংগ্রহও
পাওয়া
গিয়েছে।
কী বলছে প্রত্নতত্ত্বের সুপ্রিম কাউন্সিল ?
প্রত্নতত্ত্বের সুপ্রিম কাউন্সিলের প্রধান মোস্তফা ওয়াজিরি বলেছেন যে নিদর্শনগুলিতে প্রাচীন দেবতার ব্রোঞ্জের মূর্তি এবং প্রাচীন মিশরীয় পুরাণে উর্বরতার দেবী আইসিসের আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত ব্রোঞ্জের পাত্র রয়েছে। ইমহোটেপের একটি মস্তকবিহীন ব্রোঞ্জ মূর্তি, ফারাও জোসারের মূর্তি যিনি ২৬৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে প্রাচীন মিশর শাসন করেছিলেন।
সাক্কারার জোসারের স্টেপ পিরামিডের পায়ে একটি অস্থায়ী প্রদর্শনীতে একটি সংবাদ সম্মেলনের সময় কফিনগুলি প্রদর্শিত হয়৷ বিভিন্ন কারুকার্য করা কাঠের কফিনগুলি কবরের খাদে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং এতে মমি, তাবিজ এবং কাঠের বাক্স ছিল। নেফথিস এবং আইসিস-এর কাঠের মূর্তিও পাওয়া গিয়েছে, যাদের মুখ ছিল সোনালি।
সাক্কারা সাইটটি মিশরের প্রাচীন রাজধানী মেমফিসের একটি বিস্তৃত নেক্রোপলিসের অংশ যার মধ্যে গিজা পিরামিড এবং আবু স্যার, দাহশুর এবং আবু রুওয়েশের ছোট পিরামিড রয়েছে। মেমফিসের ধ্বংসাবশেষ ১৯৭০-এর দশকে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে মনোনীত হয়েছিল।
করোনার পর ফুরে আসতে লড়ছে এই দেশ
নিদর্শনগুলিকে
নতুন
গ্র্যান্ড
মিশরীয়
জাদুঘরে
একটি
স্থায়ী
প্রদর্শনীর
জন্য
স্থানান্তর
করা
হবে
যা
কায়রোর
ঠিক
বাইরে
বিখ্যাত
গিজা
পিরামিডের
কাছে
অবস্থিত
একটি
নির্মাণাধীন
মেগা
প্রকল্প।
মিশর
সাম্প্রতিক
প্রত্নতাত্ত্বিক
আবিষ্কারগুলিকে
ব্যাপকভাবে
প্রচার
করছে,
দেশটিতে
আরও
পর্যটকদের
আকর্ষণ
করার
আশায়।
এর
পর্যটন
খাত,
বৈদেশিক
মুদ্রার
একটি
প্রধান
উৎস।
মিশরে
২০১১
সালের
সেনা
অভ্যুত্থান
যা
স্বৈরাচারী
হোসনি
মুবারকের
পতনের
পর
শুরু
হয়েছিল
তারপর
থেকে
বছরের
পর
বছর
ধরে
রাজনৈতিক
অস্থিরতা
এবং
হিংসার
শিকার
হয়েছে
এই
দেশ।
দেশটি
সম্প্রতি
করোনভাইরাস
অতিমারীর
পরিস্থিতি
থেকে
উঠে
দাঁড়াতে
শুরু
করেছে
কিন্তু
তার
মধ্যেই
ইউক্রেনের
উপর
রাশিয়ার
হামলা
শুরু
হয়েছে
যা
দেশটির
উপর
বড়
প্রভাব
ফেলছে
কারণ
রাশিয়ার
পাশাপাশি
ইউক্রেনও
মিশরে
আসা
পর্যটকদের
একটি
প্রধান
উৎস।