কেনিয়া ও আমেরিকার সেনা ঘাঁটিতে ফের হামলা চালানোর হুমকি জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাব-এর
সোমালিয়ার ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাব কেনিয়া ও আমেরিকার সৈন্য ঘাঁটিতে আরও হামলা চালানোর হুমকি দিল। তারা কেনিয়াতে আসা বিদেশী পর্যটকদেরও হুঁশিয়ার করে দিয়েছে।
২০১১ সালে সোমালিয়ায় সেনা পাঠায় কেনিয়া
আল-কায়দার সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি গোষ্ঠীটি আগের সপ্তাহে কেনিয়ার সিম্বা ক্যাম্পে হামলার দায় স্বীকার করে নিয়ে কেনিয়াকে হুমকি দিয়ে বলে, সোমালিয়া থেকে কেনিয়া তাদের সেনা সরাক, নয়ত এর পরিণতি ভালো হবে না। এর আগে ২০১১ সালে আফ্রিকার শান্তি রক্ষা বাহিনীর হয়ে সেদেশে কেনিয়া সেনা পাঠিয়েছিল আল-শাবাবের মোকাবিলা করতে।
'কেনিয়ার মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারবে না'
এক বিবৃতি দিয়ে আল-শাবাব বলে, 'কেনিয়ার উচিত অবিলম্বে আমাদের মুসলিম ভূমি থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করা। আমরা এখনও তাদের সুযোগ দিচ্ছি এই কাজ করার জন্যে, এর পরে তাদের এই কাজের পরিণতি তাদের ভোগ করতে হবে। যদি তারা সেনা প্রত্যাহার না করে তাহলে তারা যেন আসন্ন সময়ে আরও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার জন্যে তৈরি থাকে। কেনিয়া কোনও দিন আর লুরক্ষিত থাকবে না। তাদের মানুষরা নিশ্চিন্তে রাতে ঘুমোতে পারবে না।'
কেনিয়াতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের হুঁশিয়ারি
পাশাপাশি কেনিয়াতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদেরও হুঁশিয়ার করে দিয়ে আল-শাবাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, 'কেনিয়াতে ঘুরতে যাওয়া সকল পর্যটকদের ও বিদেশীদের আমরা হুঁশিয়ার করে জানাতে চাই, এরপর থেকে সাফারিতে যাওয়া আপনাদের জন্যে আর সুরক্ষিত হবে না।'
আমেরিকার সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় আল-শাবাব
আগের সপ্তাহের আমেরিকার সেনা ঘাঁটিতে হামলার পর থেকেই সেদেশের সীমান্তে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। পুলিশও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে, যে কী ভাবে আল শাবাব দেশে ঢুকে এরকম একটি হামলা চালাল। সমস্ত দেশ আপাতত হাই অ্যালার্টে রয়েছে। সিম্বা ক্যাম্পের হামলায় মোট তিনজন মার্কিন সেনা প্রাণ হারান। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বিমান ধ্বংস হয় সেই হামলায়।