সমালোচনার মুখেই নড়ল টনক, গঙ্গার চড়ে জমা মৃতদেহ সৎকারে উদ্যোগী হচ্ছে যোগী প্রশাসন
সমালোচনার মুখেই নড়ল টনক, গঙ্গার চড়ে জমা করোনায় মৃতদের সৎকারে উদ্যোগী হচ্ছে যোগী প্রশাসন
উত্তরপ্রদেশ
থেকে
গঙ্গায়
ভেসে
আসা
লাশ
নিয়ে
গত
কয়েক
সপ্তাহ
ধরেই
ব্যাপক
চাঞ্চল্য
ছড়ায়
রাজ্য-রাজনীতিতে।
প্রশ্নের
মুখে
পড়ে
যোগী
সরকারের
ভূমিকা।
এদিকে
এর
পরে
গঙ্গার
চড়ে
বিভিন্ন
জায়গায়
মাটিচাপা
মৃতদেহর
খোঁজ
মিলতে
শুরু
করল
একের
পর
এক।
এমনকী
অনেক
জায়গাতেই
মৃতদেহ
নিয়ে
টানাটানও
শুরু
করে
কুকুর-শেয়ালের
দল।
যা
ভাইরালও
হয়
সোশ্যাল
মিডিয়ায়।
শুরুতে এই ছবি ছবি তাদের রাজ্যের নয় বলে দাবি করলেও পরে তা মেনে নেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। এমনকী পরে জানা যায় এই মৃতদেহগুলির সিংহভাগই করোনা আক্রান্তদের দেহ। এদিকে মাটি কবর দেওয়া হলেও মৃতদের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা কাপড়, বাঁশের মাচা বৃষ্টির জেরে মাটি ধুয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। আরও উৎপাত বাড়ত থাকে কুকুর-শেয়ালের। সূত্রের
সূত্রের খবর, গত কয়েক সপ্তাহে শ্মশানে যত শবদেহ নিয়ে আসা হয়, তার মধ্যে অধিকাংশ দেহ পোড়ানো হয়। বাকি দেহগুলি বালিতে পুঁতে দেওয়া হয়। কাঠের ঘাটতি থাকার কারণে এই কাজ করে দরিদ্র পরিবারগুলি। এদিকে এই কার্যকলাপের জেরে দুর্গন্ধও বেরোতে থাকে গোটা এলাকায়। এদের মধ্যে বেশিরভাগ মৃতদেহই করোনা আক্রান্তদের বলে স্বীকার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সংবাদমধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে যোগী সরকার। তারপরই গোটা বিষয়টির দেখভালের জন্য প্রয়াগরাজ পৌরসভার তরফে একটি বিশেষ টিমও গঠন করা হয়।
দৈনিক সংক্রমণ কমলেও ভ্যাকসিন ঘাটতির জন্য দেশে ৩৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে টিকাকরণ
বর্তমানে সেই বিশেষ দলই গঙ্গার পার পরিষ্কারের কাজে নেমেছে বলে জানা যাচ্ছে। মৃতদেহের সঙ্গে জড়ানো বাঁশ, কামড় সব সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে দেহাবশেষগুলিও। এদিকে উত্তরপ্রদেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লক্ষ ৭৩ হাজারের বেশি। মারা গিয়েছেন ২০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরপ্রদেশে করোনার কবলে পড়েছেন ৪ হাজারের কাছাকাছি মানুষ।