উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণ মহিলা বিচারককে! গ্রেফতার হয়নি কেউ
রাজ্যের বুদাউনে কিছুদিন আগেই দুই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই খবর দেশ তো বটেই, সারা বিশ্বে শোরগোল তুলেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ পর্যন্ত ঘটনার নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছে। গতকালই আবার বরেলিতে ২২ বছরের এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে তাকে অ্যাসিড খেতে বাধ্য করে দুর্বৃত্তরা। ওই তরুণী মারা যান। এই ঘটনাগুলির রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সামনে এল আলিগড়ে মহিলা বিচারককে ধর্ষণের ঘটনা।
সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) নীতিন তিওয়ারি বলেন, "বিচারক মহাশয়ার ভাই আমাদের খবর দেয়। সেই খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থা উদ্ধার করে। তাঁর এখনও জ্ঞান ফেরেনি। জ্ঞান ফিরলে জবানবন্দি নেওয়া হবে।"
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রাতে ওই মহিলা বিচারকের ভাই বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের দরজা ভেজানো রয়েছে। ঘরের ভিতরে মেঝেতে পড়ে রয়েছেন নির্যাতিতা। তাঁর শরীরে পোশাক ছিল না। ঘরের মেঝে ভেসে যাচ্ছিল রক্তে। মাথার কাছে কীটনাশকের একটি শিশি অর্ধেক পরিমাণ খালি অবস্থায় পড়েছিল। অনুমান, ধর্ষণের পর জোর করে কীটনাশক খাইয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এ ব্যাপারে অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু জানাতে অস্বীকার করেছে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই মহিলা বিচারককে গণধর্ষণও করা হতে পারে। তবে তাঁর জ্ঞান না ফেরায় এখনও ধর্ষণ-সংক্রান্ত ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়নি। সেই পরীক্ষার পরই গণধর্ষণের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। নির্যাতিতার ভাইয়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।