বিদ্যুৎ চালিত গাড়িকে কি মোবাইলের মতো চার্জ দেওয়া সম্ভব হবে? উত্তর খুঁজছেন এমআইটির দুই ছাত্র
বিদ্যুৎ চালিত গাড়িকে কি মোবাইলের মতো চার্জ দেওয়া সম্ভব হবে? উত্তর খুঁজছেন এমআইটির দুই ছাত্র
বিদ্যুৎ চালিত গাড়িই নাকি ভবিষ্যত! যা দ্রুতই একঘরে করে দেবে ব্যয়বহুল পেট্রোল ও ডিজেলের গাড়িগুলিকে! এমনটাই দাবি করে থাকেন দেশ-বিদেশের প্রযুক্তিবিদরা৷ তবে টেসলার মতো দু'একটি কোম্পানি ছাপ ফেললেও এখনও পর্যন্ত পেট্রোল, ডিজেল চালিত গাড়িকে টেক্কা দিতে পারেনি বৈদ্যুতিন গাড়ি (ইভি)। এর একটি অন্যতম বড় কারণ হল এই গাড়িগুলির চার্জিংয়ে সমস্যা! এবার এই সমস্যারই সমাধান খুঁজছেন এমআইইটির দুই ছাত্র।
কোন পদ্ধতিতে হবে দ্রুত চার্জিং?
এমআইইটি-র ছাত্রদের দাবি অনুসারে বলা হয়েছে, ডিজেল এবং পেট্রোল যানবাহনের মতোই আগামীদিনে বৈদ্যুতিক যানবাহনগুলিও দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম হবে৷ মিরাট ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইইটি)-র দুই ছাত্রের উদ্ভাবনের জন্য এই আপাত কষ্টসাধ্য জিনিস সম্ভব হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে! এই প্রযুক্তি কলেজটির দুই ছাত্র, সাগর কুমার এবং রোহিত রাজভার ওয়্যারলেস ইলেকট্রিক যানবাহন চার্জিং সিস্টেমের উদ্ভাবন করেছেন৷ যা গাড়ির চলন্ত অবস্থাতেই চার্জ হতে থাকবে৷
কিভাবে এই ধরণের চার্জিং সিস্টেম তৈরির কথা মাথায় এল এমআইইটি-র দুই গবেষক ছাত্রের?
সাগর ও রোহিত জানান, 'পরিবেশ বাঁচাতে সড়কে বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল করলেও চার্জিং পয়েন্টের সংখ্যা সীমিত থাকায় যানবাহনগুলো দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে পারছে না। এতে বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানো মানুষরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। সাগর বলেন, এই ব্যবস্থার জন্য রাস্তার ধারে টাওয়ার স্থাপন করা হবে এবং গাড়িতে রিসিভার বসানো হবে। গাড়ি টাওয়ারের রেঞ্জে আসার সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ির ব্যাটারি চার্জ হতে শুরু করবে।' আপাতত রিসিভারের পরিসর খুব কম হলেও এর গতি বাড়ানোর কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন সাগর। তাঁরা চরও বলেন, এটি একটি বেতার মোবাইল চার্জারের মতো সিস্টেম। এই নতুন সিস্টেমের প্রস্তাবটি নীতি আয়োগের কাছে পাঠানো হয়েছে। নীতি আয়োগ এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেছে।
গবেষণার সমস্যা ও সাহায্য পাওয়া নিয়ে কী বললেন রোহিত?
রোহিত বলেন, 'আমরা ওয়্যারলেস ইলেকট্রিক যানবাহন চার্জিং সিস্টেমের ধারণাটি অনেক আগেই ভেবেছিলাম কিন্তু আমরা কোনোরকম অর্থ সাহায্য পাচ্ছিলাম না বলে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিলাম। কিন্তু যখন আমরা অটল কমিউনিটি ইনোভেশন সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করি, সেখানে আমাদের প্রকল্পটি নির্বাচিত হয়েছিল এবং আমরা একটি প্রোটোটাইপ তৈরির জন্য তহবিল এবং একটি ল্যাব পেয়েছি, যার কারণে কাজটি সহজে করা সম্ভব হচ্ছে।
কী বলছেন MIET-র চেয়ারম্যান?
এমআইইটি-র ভাইস-চেয়ারম্যান পুনীত আগরওয়াল বলেছেন, 'আমাদের কলেজে (উত্তরপ্রদেশের মিরাট জেলায়) অটল কমিউনিটি ইনোভেশন সেন্টার রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন করতে পারে। আমরা তাদের ধারণার জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য করার চেষ্টা করি।' পাশাপাশি, আঞ্চলিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের সিনিয়র বিজ্ঞানী মহাদেব পান্ডে বলেন, 'এই কৌশলটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফোর্স সিস্টেমে কাজ করে। জনস্বার্থে একটি খুব ভালো উদ্ভাবন করা হয়েছে৷ এই কৌশলটি দেশের উন্নয়নে অংশীদার হতে পারে, যদি এর পরিসর বাড়ানো হয়।'
দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪৩ বছরের বাবা, পাশ করতে পরাল না ছেলে