(ছবি) জেনে নিন কীভাবে মালদহ দিয়ে সারা দেশে ছড়াচ্ছে জাল নোট
নয়াদিল্লি, ২৫ জুন : মালদহে এত জাল নোট কোথা থেকে আসছে? তদন্ত নেমে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের কাছে প্রথম প্রশ্ন ছিল এটাই। সাম্প্রতিক কালে জাল নোট কাণ্ডে যতজন ধরা পড়েছিল, সবারই মালদহ যোগ স্পষ্ট ছিল।
তদন্তে উঠে এসেছে, গোটা দেশের জাল নোটকারবারীদের নব্বই শতাংশই মালদহ ইউনিটের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এখান থেকেই দেশের সব প্রান্তে জাল নোট ছড়িয়ে পড়ে।
সম্প্রতি এনআইএ-র জালে ধরা পড়েছে জাল নোটের কারবারি সোনাউল (৪৫) নামে এক ব্যক্তি। রাজধানী দিল্লিতে তাঁকে তদন্তের স্বার্থে নিয়ে গিয়ে গিয়েছেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, মালদহ থেকে ২০১৩-১৪ সালে ১৫০০ কোটি টাকার জাল নোট ভারতের বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জনি শেখ নামে এক ব্যক্তি গোটা ঘটনার মূল পান্ডা। সে এবং তার গোটা দল মালদহে নোট ছাপার কাজ শুরু করতে চাইছিল।
তবে এই নোট আসত কোথা থেকে? নিচের স্লাইডে দেওয়া হল বিস্তারিত তথ্য।
জাল নোটের রমরমা
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জাল নোটগুলি পাচার হয়ে মালদহে আসত। সম্প্রতি শাহজাহান নামে আর এক জাল নোটের কারবারিকে গ্রেফতার করার পর গোটা বিষয়টি পুলিশের কাছে স্পষ্ট হয়েছে।
জাল নোটের রমরমা
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে ছাপা ওই জাল নোটগুলি বাংলাদেশ হয়ে ভারতে আসত। আর এক্ষেত্রে মালদহে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে তা সেই রাজ্য়েই প্রথম প্রবেশ করত।
জাল নোটের রমরমা
শাহজাহানকে জেরা করে গোয়েন্দারা জেনেছেন, বহু পাকিস্তানি বাংলাদেশে রীতিমতো পসরা সাজিয়ে বসে ভারতের জাল নোট ছাপিয়ে চলেছে।
জাল নোটের রমরমা
গত কয়েকবছরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত ভেদ করে জাল নোট এদেশে পাচার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। ফলে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে নোট পাচার করার জন্য মালদহ রুটটিকে বেছে নিয়েছে দুর্বত্তরা।
জাল নোটের রমরমা
শাহজাহানের কাছ থেকে গোয়েন্দারা আরও জেনেছেন, জাল নোটের পশ্চিমবঙ্গ তথা মালদহ ইউনিটের কাজ হল, বাংলাদেশ থেকে আসা জাল নোটগুলিকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া।
জাল নোটের রমরমা
কীভাবে হয় এই কাজ?
গোয়েন্দারা জেনেছেন, নোট ছড়ানোর কাজ করে মূলত কমবয়সী যুবকেরাই। তাদের কাঁধেই রয়েছে গোটা দায়িত্ব।
জাল নোটের রমরমা
বাংলাদেশ থেকে এদেশে জাল নোটের বান্ডিল এসে পৌঁছলেই দলে দলে ভাগ হয়ে কমবয়সী যুবকেরা মুম্বই, বেঙ্গালুরুর মতো শহরগুলিতে পৌঁছে যায়। এরপর সেখানে বড় নির্মাণশিল্পে শ্রমিকের কাজ করতে করতে সেই শহরে ধাপে ধাপে জাল নোট ছড়িয়ে দেয়।
জাল নোটের রমরমা
হাজার টাকার একটি জাল নোট ১০০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়। বিভিন্ন শহরে কিছু বাঁধা খরিদ্দার রয়েছে, যারা এই যুবকদের কাছ থেকে জাল নোট কেনে।
জাল নোটের রমরমা
এনআইএ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তাদের সন্দেহ, কিছু ব্য়াঙ্ককর্মীও গোটা মডিউলের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এব্যাপারে আরও তদন্ত চলছে বলেও জানা গিয়েছে।
জাল নোটের রমরমা
শাহজাহান নামে যে জাল নোট কাণ্ডের পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা, তার মাধ্যমে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি নোট যেখানে ছাপা হয়, সেসব জায়গাতেই ভারতে জাল নোটগুলি ছাপা হয় এবং তার সঙ্গে আসল নোটের তফাৎ এতটাই সুক্ষ যে, চট করে আসল-নকল বোঝার উপায় নেই।