শ্বেতা বসু খবর হল, তাঁর অপ্রকাশিত শিল্পপতি 'খদ্দের' 'সম্মানীয়ই' রয়ে গেলেন
গত রবিবার রাতে হায়দ্রাবাদের বাঞ্জারা হিলসের একটি হোটেল থেকে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয় শ্বেতাকে। মিডিয়ার খবর অনুযায়ী শ্বেতার পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় তার দালাল বালুকেও। সূত্রের খবর অনুযায়ী এই বালুই একসময়ে সবকারি পরিচালক হিসাবে কাজ করতেন। প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে খদ্দেরের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার জন্য ১ লক্ষ টাকা নিত বালু। সে খবরও মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছে।
শ্বেতা হাই প্রোফাইল যৌন ব্যবসার একটি অংশ মাত্র। এমন তো নয়, যে এই ব্যবসায় শ্বেতাই একমাত্র পাপী। খবরে প্রকাশিত হয়েছিল শ্বেতার সঙ্গে কয়েকজন "নামী শিল্পপতিকেও" হাতে নাতে ধরেছে পুলিশ। শ্বেতাকে হাতে নাতে ধরা হয়েছে মানে তার সঙ্গে সেই মুহূর্তে সেই ব্যক্তিও উপস্থিত ছিলেন যিনি শ্বেতার শরীরের জন্য টাকা দিয়েছিলেন। তাহলে শ্বেতার নাম যখন খবরের শিরোনামে তুলে ধরা হল তখন কেন খবরের ভিতরেও একবারও সেই ব্যক্তির নাম এল না। শ্বেতাকে গ্রেফতার করার পর তাঁকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হল, নানারকম মেডিক্যাল পরীক্ষা হল, এসব খবরে এল, খবর দিল পুলিশেরই সূত্র, কিন্তু শ্বেতার 'খদ্দেরের' নাম গ্রেফতারের পর তার কী হল সে বিষয়ে কেই মুখ খুলছেন না কেন?
যাঁর অনেক টাকা-প্রভাব তার এমন নোংরা বিষয় জড়ানো সমীচীন না, তাই দোষী শুধুই শ্বেতা!
যৌন ব্যবসা কখনও কারও একার জন্য নয়। ফিল্ম দুনিয়ার কঠোর প্রতিযোগিতার জন্যও কিন্তু এই চলচ্চিত্র জগতের ভিতরের অন্ধকার দুনিয়াটার সৃষ্টি হয়নি। হয়েছে কিছু লোভী ও নিম্নরুচির মানুষের জন্য যারা এই জগতের সঙ্গে যুক্ত। যারা নিজেদের স্বার্থের জন্য একটি আলাদা জগত তৈরি করে দেয়। এই যেমন ধরুন ছবিতে সহকারি পরিচালক হিসাবে কাজ করা আনজানেওয়ালু, যে নিজের ব্যবসার জন্য শরীর ও টাকার মধ্য়ে সেতুবন্ধনের দায়িত্ব নিল। শুধু ফিল্ম জগত কেন সবজায়গায় আছে সমস্যা। তবে ফিল্ম জগতে হাই সোসাইটির নামে সবকিছুই একটু বেশি খোলামেলা।
যেই ব্যবসায়ী বালুকে শ্বেতার জন্য টাকা দিল সেও ততটাই অপরাধী যতটা বালু বা শ্বেতা। কারণ তাদের খিদে ও টাকার জন্যই তো এই দেহ ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে। অথচ শ্বেতার নাম খবরে এলেও শ্বেতার 'খদ্দের' কিন্তু অপরিচিত হয়েই রয়ে গেলেন। আর অপরিচিত বলেই সম্মানীয় ব্যক্তি তকমাটাও বজায় রাখতে সমর্থ হলেন। এর পিছনেও সেই টাকারই খেলা। পরিবারের দায়িত্ব পালনে অপারগ, আর্থিক অনটনে থাকা শ্বেতা এই পথ বেছে নিয়েছিলেন। তার সে টাকা নেই যা দিয়ে এই ঘটনা থেকে নিজের নাম ধামাচাপা দেওয়াতে পারবেন তিনি। অথচ সেই শিল্পপতি যার অনেক টাকা, প্রভাবও প্রচুর তার পক্ষে এমন নোংরা বিষয় থেকে নিজের নাম বের করে আনাটা মোটেই কঠিন কোনও কাজ নয়। হয়তো যার নাম প্রকাশ্যে এলে শ্বেতা বসুর দেব ব্যবসার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার থেকে বড় কোনও ব্রেকিং নিউজ তৈরি হতে পারত তার নাম অন্ধকারেই রয়ে গেল।
হয়তে সেই ব্যক্তি পরিবারের সঙ্গে বসে শ্বেতার খবর পড়তে পড়তে তাঁর নিন্দায় দু-চার কথা বলছেনও। কে জানে!