পুলিশ হেফাজতে নারকীয় অত্যাচারের কথা শোনালেন, কাঠুয়া ধর্ষণ মামলায় মুক্ত বিশাল
রায় দিয়েছে পাঠানকোট জেলা দায়রা আদালত। ৭ জন দোষীর মধ্যে ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত। বেকসুর খালাস করা হয়েছে দোষী এবং সাজা প্রাপ্ত পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জি রামে ছেলে বিশাল।
রায় দিয়েছে পাঠানকোট জেলা দায়রা আদালত। ৭ জন দোষীর মধ্যে ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত। বেকসুর খালাস করা হয়েছে দোষী এবং সাজা প্রাপ্ত পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জি রামে ছেলে বিশাল।
রায়দানের পুরে পুলিস হেফাজতে থাকার সময় নারকীয় অত্যাচারের বিবরণ দিয়েছেন বিশাল। একটি সর্বভারতী সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিশাল জানিয়েছেন, যে অপরাধ তিনি করেননি তা কবুল করানোর জন্য দিনের পর দিন তাঁকে পুলিস হেফাজতে রেখে অত্যাচার চালাত পুলিস।
অথচ ঘটনার সময় বিশাল মিরাটে ছিলেন। সেখানে কৃষিকাজ নিয়ে বিএসসি পড়ছিলেন তিনি। পরীক্ষা চলছিল তাঁর। পরীক্ষা দিয়ে হোস্টেলে ফেরার পর হঠাৎ একদিন ক্রাইম ব্রাঞ্চের কয়েকজন গিয়ে তাঁকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে আসে। সেখান থেকে মারতে মারতে তাঁকে মীরপুর চৌকিতে নিয়ে আসেন পুলিস কর্মীরা। রাতভর তাঁকে পুলিস কর্মীরা মারধর করেন, এবং জোর করে ধর্ষণের অপরাধ স্বীকার করানোর চেষ্টা করতে থাকেন তাঁরা। পুলিসের মারের চোটে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল বিশাল।
হোয়াটসঅ্যাপে কাঠুয়ায় খুনের ঘটনা ঘটেছে তা আগেই জেনেছিলেন বিশাল, তবে মেয়েটিকে যে ধর্ষণ করা হয়েছিল সেকথা জানতেন না বিশাল। পুলিস চার্জশিটে উল্লেখ করেছিল আসিফাকে ধর্ষণের পর রাতারাতি ট্রেন ধরে ফের মিরাটে ফিরে গিয়েছিলেন বিশাল। কিন্তু তা কখনওই ঘটেনি বলে দাবি করেছেন বিশাল।
তাঁর পরিবার যাতে ভেঙে পড়ে সেকারণে তাঁকে এবং তাঁর বন্ধুদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে পুলিস। পরিকল্পিতভাবে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশাল। যদিও মামলায় বিশাল মুক্তি পেলেও তাঁরা বাবা ওই মন্দিরের পুরোহিত সঞ্জি রামকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত।
কিন্তু জি নিউজের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে ঘটনার সময় মুজফফরপুরে একটি এটিএমে টাকা তুলতে দেখা গিয়েছিল বিশালকে। এই ভিডিও ফুটেজই বিশালকে নির্দোষ প্রমাণে অনেক সাহায্য করেছে।