নির্যাতিতার সাক্ষ্যই নির্ভরযোগ্য! ৪৩ বছরের পুরনো ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত অভিযুক্ত
নির্যাতিতার সাক্ষ্যকে নির্ভরযোগ্য বলে রায় দিয়ে ৪৩ বছরের পুরনো একটি ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ১৯৭৯ সালে ১০ বছরের বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযুক্ত এতদিন জামি
নির্যাতিতার সাক্ষ্যকে নির্ভরযোগ্য বলে রায় দিয়ে ৪৩ বছরের পুরনো একটি ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ১৯৭৯ সালে ১০ বছরের বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযুক্ত এতদিন জামিনে ছিলেন। আদালত অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে বাকি সাজা ভোগ করার জন্য সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
আসামীর আবেদন খারিজ
এলাহাবাদ
হাইকোর্টের
বিচারপতি
সমিত
গোপাল
বলেছেন,
অভিযুক্তের
বয়স,
তার
দ্বারা
হওয়া
অপরাধের
ক্ষেত্রে
সুবিধা
বাড়ানোর
কারণ
হতে
পারে
না।
এব্যাপারে
৬
বছরের
কারাদণ্ডের
বিরুদ্ধে
করা
আসামীর
আবেদন
খারিজ
করে
দিয়েছেন
বিচারপতি।
কেননা
অভিযুক্তের
যুক্তি
ছিল
যে
সময়
তাঁকে
দোষী
সাব্যস্ত
করা
হয়েছিল
সেই
সময়
তাঁর
বয়স
ছিল
২৮
বছর।
বর্তমানে
.তাঁর
বয়স
৬৮।
আর
১৯৭৯
সালের
পরে
৪৩
বছর
পেরিয়ে
গিয়েছে।
এক্ষেত্রে
আদালতের
যুক্তি
হল,
সাজার
প্রশ্নে
আবেদনকারীর
বয়স
এবং
আবেদনকারীর
দোষী
সাব্যস্ত
হওয়ার
ওপরে
কোনও
প্রভাব
ফেলে
না।
ফলে
অভিযোগ
যেখানে
প্রমাণিত,
তাই
পর্যাপ্ত
শাস্তি
তাকে
পেতে
হবে।
ঘটনাটি ১৯৭৯ সালের
১৯৭৯ সালে ৪ অক্টোবর নির্যাতিতা (তখন ১০ বছর বয়স) মাঠে ঘাস কাটছিলেন। সেই সময় অভিযুক্ত ওমপ্রকাশ তাঁকে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার দিনই এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এছাড়াও তদন্ত শেষের পরে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইপিসি ৩৭৬ ধারা অধীনে চার্জশিট দাখিল করাও হয়। মিরাটের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১৯৮২ সালের ২ জুলাই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং ছয় বছরের কারাজণ্দের নির্দেশ দেন। এরপর অভিযুক্ত এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন। অভিযুক্তের যুক্তি ছিল নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা কিংবা ডাক্তার, তদন্তকারী অফিসার কাউকেই পরীক্ষা করা হয়নি। অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শীকেও আদালতে হাজির করানো হয়নি।
নির্যাতিতার সাক্ষ্যই যথেষ্ট
এব্যাপারে এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ হল নির্যাতিতার সাক্ষ্যই এব্যাপারে নির্ভরযোগ্য। এফআইআর, রক্তের দাগ, জামাকাপড়, মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট, ঘটনার স্থান এবং এব্যাপারে চার্জশিটের কথা আদালতের তরপে উল্লেখ করা হয়েছে।
ট্রায়াল কোর্টের আদেশ বহাল
অভিযুক্তের আবেদন খারিজ করে দিয়ে এলাহাবাদ আদালত ট্রায়াল কোর্টের কারাবাসের আদেশ বহাল রেখেছে। পাশাপাশি অভিযুক্তকে জেলে পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছে।