হিন্দু দেব-দেবীদের ছবি দেওয়া কাগজে মুড়ে মাংস বিক্রি, গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশের মাংস বিক্রেতা
হিন্দু দেব-দেবীদের ছবি দেওয়া কাগজে মুড়ে মাংস বিক্রি, গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশের মাংস বিক্রেতা
বিজেপির প্রাক্তন নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যের জেরে দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দেয়। উদয়পুরে নৃশংশভাবে দর্জি কানহাইয়া লালকে খুন হতে হয়। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে নবী সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগ করা হয়েছে নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে। এবার ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে হিন্দু দেব-দেবীদের ছবি দেওয়া কাগজ মুড়ে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে। পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকাল থেকে উত্তরপ্রদেশে সম্বল থেকে একাধিক অভিযোগ আসে। অভিযোগে জানানো হয়, এক ব্যক্তি হিন্দুদের দেব-দেবীর ছবি দেওয়া কাগজে মুড়ে মুরগির মাংস বিক্রি করছে। এই ঘটনা তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছে বলে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পরেই সম্বলের পুলিশ তালিব হুসেনের দোকানে অভিযান চালায়। পুলিশ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে যান অভিযুক্ত মাংস বিক্রেতা তালিব। মাংস কাটার ছুড়ি নিয়ে পুলিশের ওপর অভিযুক্ত মাংস বিক্রেতা হামলা করে বলে অভিযোগ। তালিব হুসেনের বিরুদ্ধে পুলিশ ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।
দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা
চলতি বছরের জুন মাসের শুরুর থেকে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার নবীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কোথাও কোথাও সেই বিক্ষোভ হিংসার আকার ধারণ করে। বিক্ষোভের সময় একাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। কোথাও কোথাও বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দোকান লুঠ হয়েছে। বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা। দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার আগুন জ্বালানোর জন্য সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে দায়ী করে। তাঁর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও সুপ্রিম কোর্ট জানায়। বিশ্বের ২০টির বেশি দেশ নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ভারতের সমালোচনা করেছে।
উদয়পুরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড
নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যকে সমর্থন করার জন্য খুন হতে হয়েছে উদয়পুররে দর্জি কানহাইয়া লালকে। নূপুর শর্মার মন্তব্যকে সমর্থন করে ফেসবুকে একটি মন্তব্য করেন। তারপর থেকেই তিনি প্রাণহানির হুমকি পাচ্ছিলেন। তিনি নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁর অভিযোগ গুরুত্ব দেয়নি। কানহাইয়া লালকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের একজন কুপিয়ে হত্যা করে কানহাইয়া লালকে। অন্যজন তার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। সেখানে তারা কানহাইয়া লালকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়।
উদয়পুর কাণ্ডে বিশেষ নজর, রাজস্থানে জরুরি বৈঠকে বসছে সঙ্ঘ শিবির