যাঁরা হিন্দি ভাষাকে ভালোবাসেন না তাঁরা বিদেশি, ভাষা বিতর্ক উস্কে দিয়ে মন্তব্য উত্তরপ্রদেশ মন্ত্রীর
ভাষা নিয়ে যখন দেশজুড়ে তর্ক–বিতর্ক চলছে, ঠিক সেই সময় উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সঞ্জয় নিশাদ হিন্দি ভাষাকে সমর্থন করে সুর চড়ালেন। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী তাঁর মতামত সামনে রেখে জানান যে যাঁরা ভারতে থাকতে চান তাঁদের হিন্দি ভালোবাসতে হবে। উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী আরও জানান যে যাঁরা এই ভাষার বিরুদ্ধে বা হিন্দিকে ভালোবাসেন না, তাঁদের বিদেশি বলে বিবেচনা করা হবে বা বিদেশি ক্ষমতার সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক রয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে।

নিশাদ দলের নেতা বলেন, 'আঞ্চলিক ভাষাও সম্মানিত কিন্তু প্রথমে হিন্দি আছে...তারপর আঞ্চলিক ভাষা আছে।’ প্রসঙ্গত, যখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন যে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মানু্যদের একে–অপরের সঙ্গে ইংরাজিতে নয় বরং হিন্দিতে কথা বলা উচিত। এরপরই ভাষা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় দেশজুড়ে।
এই ভাষা বিতর্ক নতুনভাবে শুরু হয় যখন কন্নড় অভিনেতা–পরিচালক কিচ্চা সুদীপ এক অনুষ্ঠানে এসে বলেন, 'হিন্দি আর আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা নেই’। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে তাঁকে কনা জবাব দেন বলিউড অভিনেতা অজয় দেবগণ। এমনিতে অজয় দেবগণ নির্বিবাদী লোক। গসপি বা বলি দুনিয়ার কন্ট্রোভার্সি থেকে বরাবরই নিজেকে দূরেই রেখেছেন অভিনেতা। কিন্তু সুদীপের কথা একেবারেই হজম করতে পারলেন না বলিউডের সিংঘম। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে হিন্দিতে অজয় সুদীপের কাছে প্রশ্ন রাখেন, যদি হিন্দি সত্যি রাষ্ট্রীয় ভাযা না হয় তবে সুদীপ কেন নিজের ছবি হিন্দিতে ডাবিং করে রিলিজ করেন। অজয় সুদীপকে ট্যাগ করে লেখেন, 'কিচ্চা সুদীপ ভাই, যদি হিন্দি আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা না হয়, তাহলে তুমি কেন তোমার মাতৃভাষায় তৈরি ছবি হিন্দিতে ডাবিং করে রিলিজ করো? হিন্দি আমার মাতৃভাষা, এবং আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা এবং সেটা থাকবেই। জন গণ মণ।’ অজয় দেবগণের টুইটের পর সুদীপ চটজলদি নিজের মন্তব্যকে শুধরে নিয়ে দাবি করেন যে তিনি এই মন্তব্য কাউকে আঘাত, উস্কানি বা বিতর্ক তৈরি করার জন্য করেননি।
তবে এই ঘটনার পর দক্ষিণের একাধিক রাজনৈতিকবিদ এই বিতর্কে নাক গলান এবং হিন্দিকে রাষ্ট্রীয় ভাষা বলার জন্য অজয় দেবগণের সমালোচনায় মুখর হন। এইচডি কুমারস্বামী থেকে শুরু করে সিদ্ধিরামাইয়া এই নেতারা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন যে কেন দেশের ওপর হিন্দি ভাষাকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।